X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘দক্ষতার অভাবে জলবায়ু ক্ষতির অর্থ আদায় সম্ভব হচ্ছে না’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:১১আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:০৪

জলবায়ু তহবিল বিষয়ে কথা বলছেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন) জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ‘দূষণ বৃদ্ধিকারী’ উন্নত রাষ্ট্রগুলো থেকে অর্থ আদায়ে বাংলাদেশের দরকষাকষি ও সমঝোতা দক্ষতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে উন্নত দেশগুলো ‘দূষণকারী কর্তৃক পরিশোধযোগ্য’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। তবে সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ)-এর আওতায় থাকা সাতটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মহলে অর্থ আদায়ের জন্য ‘নেগোসিয়েশন স্কিল’-এর অভাব রয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) টিআইবি’র মেঘমালা সম্মেলন কেন্দ্রে এসব কথা বলেন তিনি। পোল্যান্ডের কাতোভিতসেতে আসন্ন কপ-২৪ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা কাঠামো সম্বলিত চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন ও প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিতের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টিআইবি।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৩টি প্রকল্পের জন্য জিসিএফ থেকে মাত্র ৮৫ মিলিয়ন ডলার তহবিল অনুমোদন পেয়েছে। ২০১৩ সাল হতে শিল্পোন্নত দেশসমূহ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন রেজিলিয়েন্স তহবিল (বিসিসিআরেএফ)-এ নতুন কোনও অর্থায়ন করেনি। অথচ শুধু অভিযোজনের জন্যই বাংলাদেশের প্রতিবছর কমপক্ষে ২.৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।’

এ অবস্থায় উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ে বাংলাদেশের সমঝোতা দক্ষতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে নেগোসিয়েশন স্কিল ও টেকনিক্যাল স্কিল প্রয়োজন। মোটাদাগে আমাদের সেটা কম রয়েছে। তবে আমরা আগের থেকে ভালো করছি। আমাদের স্কিলটা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘জলবায়ু সংক্রান্ত যেসব কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকেন বা জানেন, তারা সবসময় একই জায়গায় থাকেন না। ফলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব যারা করেন, তারা বিষয়টা সম্পর্কে ভালো জানেন না বা দক্ষ নন। আবার কারো কারো মাঝে সম্মেলন উপলক্ষে ঘুরে বেড়ানো, বিদেশ ভ্রমণ উপভোগ করার মতো বিষয়গুলো দেখা যায়।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি উভয়পক্ষের সদস্যরা সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে দুই পক্ষকে একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে হবে। অন্যান্য দেশ এভাবেই কাজ করে। উল্টো আমাদের এখানে বেসরকারি পর্যায়ে যারা যান, তাদের প্রতিপক্ষ ভাবা হয়। এটা ভাবলে হবে না। সম্মেলনে বেসরকারি প্রতিনিধিরা যান সহযোগিতার জন্য।’

জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা ও দরকষাকষির ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিনিধিরা তুলনামূলক বেশি দক্ষ বলে জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

টিআইবির পক্ষ থেকে জিসিএফ থেকে প্রয়োজনীয় তহবিল পাওয়ার জন্য জাতীয় বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান (এনআইই) হিসেবে বাংলাদেশের ইনফ্রাসট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইডকল) এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনকে (পিকেএসএফ) সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

/আরজে/টিটি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর অঙ্গহানি করলেন স্ত্রী
দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর অঙ্গহানি করলেন স্ত্রী
প্রচণ্ড গরমেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার, ভোটদানের হার ৬১ শতাংশ
ভারতে দ্বিতীয় দফায় ভোটপ্রচণ্ড গরমেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার, ভোটদানের হার ৬১ শতাংশ
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি