শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা আর বিনয়ে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে পুরো জাতি। ১৯৭১ সালের এ দিনে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে স্তূপ করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল ঢাকার কয়েকটি এলাকায়। বৃদ্ধিজীবীদের হত্যার পর দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামসরা তাদের মৃতদেহকে বিকৃত করে ফেলার চেষ্টা করেছিল। চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক দুইদিন আগে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে পুরো জাতিকে মেধাশূন্য করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল পরাজিত শক্তি।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতীয়ভাবে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়া শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা সভা এবং মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
ছবিতে উঠে এসেছে বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করার নানা দৃশ্য-
ছবি: নাসিরুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেন