সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, ‘প্রতিবন্ধী, বিধবা বলে এই সমাজে কেউ নিজেকে আর অসহায় ভাবতে পারবে না। একজন অটিজম আক্রান্ত শিশুর মা-বাবা তার সন্তানের জন্য মুখ লুকাবে না। প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কর্মসংস্থান ঘটবে।’
রবিবার দুপুরে (১৩ জানুয়ারি) লালমনিরহাট জেলা সার্কিট হাউসে সংবাদকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘নির্বাচন পরবর্তী উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী জানান, দেশের প্রতিটি জেলায় প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ও অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির কাজ শেষের পথে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে গোটা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের সব ক্ষেত্রেই এখন সফলতা দৃশ্যমান। এই উন্নয়নের জোয়ারে দেশের এক শ্রেণির মানুষ অবহেলিত থাকবে, পেছনে পড়ে থাকবে, তা হতে পারে না। দেশের প্রতিটি জেলার প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ও অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের তালিকা করার কাজ শেষের পথে। আগামী পাঁচ বছরেই দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়ে পিছিয়ে থাকা মানুষকে সমাজের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করা হবে।’
বাংলা ট্রিবিউনের লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। জনগণের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে গিয়ে আমার ভুল হতে পারে। আমি আপনাদের কাছে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, ভুলগুলো আমাকে ধরিয়ে দেবেন।’
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান, একজন সামাজিক মানুষ। আমি কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করিনি। জনগণের মানুষ হিসেবে আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে আজ কেবিনেট মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছি। মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমি এই জায়গায় এসেছি। পর্যায়ক্রমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পশ্চাৎপদ এই লালমনিরহাট জেলার সার্বিক উন্নয়ন করা হবে।’
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক গোকুল রায়, মাজেদুল ইসলাম সরকার, আশিকুর রহমান ডিফেন্স ও মাসুদ রানা রাশেদ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে স্থানীয় মানুষ সংবর্ধনা জানান। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আরিফের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদল আশরাফ প্রমুখ।