রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শুল্ক দাতারা যাতে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে শুল্ক পরিশোধ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে হয়রানিমুক্ত শুল্কবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক কাস্টম দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে ‘আন্তর্জাতিক কাস্টম দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে কাস্টম বিভাগের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমানে বাণিজ্য ও ভ্রমণসহ বিভিন্ন কারণে মানুষের দেশ-বিদেশে যাতায়াত এবং বিশ্বময় পণ্য পরিবহন অন্য যে কোনও সময়ের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণসহ সীমান্ত সুরক্ষা ও নিরাপদ ভ্রমণের স্বার্থে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব বেড়েছে।’ বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এবছর বিশ্ব কাস্টম দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘এসএমএআরটি বর্ডারস ফর সিমলেস ট্রেড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট’— অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম আরও বেগবান করতে নিরাপদ ও অবাধ বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ কাস্টম উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও কাস্টম পদ্ধতি সরলীকরণের মাধ্যমে নিরাপদ ও অবাধ বাণিজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও শক্তিশালীকরণসহ রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন সুগম করতে বাংলাদেশ কাস্টম নিরলস প্রয়াস অব্যাহত রাখবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টম দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন। বাসস