ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ৫ জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ ও স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আব্দুর রহিম ব্যবসায়ী এবং কোটিপতি হিসেবেই পরিচিত। তবে কোটিপতি হলেও আতিকুলের নিজের গাড়ি নেই। আর নিজের বাড়ি নেই ববি হাজ্জাজের। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন হবে। ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাফিন আহমেদ।
হলফনামা থেকে জানা গেছে, আতিকুল ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তার বাড়ি থাকলেও নিজের নামে কোনও গাড়ি নেই। তার বার্ষিক আয় কোটি টাকার বেশি। এরমধ্যে কৃষিখাতে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ৩৬ লাখ ৫০ হাজার ৪০৪ টাকা; ব্যবসা থেকে ৫১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫৭১ টাকা। তার স্ত্রী শায়লা শাগুফতা ইসলামের আয় ১৯ লাখ ৫০ হাজার এবং অন্যান্য খাতে আয় ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯২ টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আতিকুলের নিজের নামে রয়েছে নগদ ৮৭ হাজার ৬৩ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকে জমা আছে ১৫৭৬.১৩ ডলার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ কোটি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৯ টাকা। এছাড়া তার রয়েছে বন্ড, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ৩ কোটি ৭৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা, সোনাসহ অন্যান্য সম্পদ ২ লাখ টাকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ৫ লাখ, আসবাবপত্র ৫ লাখ টাকার।
স্ত্রীর নামে রয়েছে নগদ ২ কোটি ৫৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৬৪ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৫ টাকা, ৩০ ভরি সোনার অলঙ্কার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ৩ লাখ ও আসবাবপত্র ২ লাখ টাকার।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে এক হাজার ৭৪.০৩৫ শতাংশ কৃষি জমি এবং ৩৫ শতাংশ অকৃষি জমি রয়েছে। তার ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৩ টাকার বাড়ি ও ২ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার অ্যাপার্টমেন্ট, মৎস্য খামার ১ লাখ ২০ হাজার টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ টাকার (বায়নাকৃত) বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। তার ১ কোটি ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার গৃহঋণও রয়েছে।
এনডিএমের মেয়র প্রার্থী ববি হাজ্জাজ ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের ছেলে। তার পেশা শিক্ষকতা (নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি) ও ব্যবসা (পরিচালক, ডেকোটা প্রাইভেট লি.)। শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিএ। গাড়ি থাকলেও বাড়ি নেই তার।
তার বার্ষিক আয় শিক্ষকতা থেকে ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা, অন্যান্য খাত থেকে ১২ হাজার ৪১২ টাকা। এছাড়া তার বিভিন্ন কোম্পানির ৫০০টি শেয়ার রয়েছে। আর স্ত্রীর আয় ৩ লাখ টাকা।
ববির অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ টাকা ৫৪ লাখ ১০ হাজার ৮৬ টাকা রয়েছে। এছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪০ টাকা। আছে একটি গাড়ি, ১০ হাজার টাকার সোনার অলঙ্কার। ববি হাজ্জাজ ৫০ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছেন।
এছাড়া তার স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ৪৫ হাজার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ৪০ লাখ টাকার ১০০ ভরি সোনা ও সোনার অলঙ্কার রয়েছে স্ত্রীর নামে। তবে তার কোনও স্থাবর সম্পদ নেই। তার স্থাবর কোনও সম্পদ ও ঋণ নেই।