ভালোবাসা দিয়ে ইশারাভাষীদের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের মিলনায়তনে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘ভালোবাসাই ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করে, ভালোবাসা দিলে ভালোবাসা মেলে। ভালোবাসা দিয়ে শুধু মানুষকে নয়, সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব। আমরা জানি, ঘৃণার ক্ষমতা অসীম, কিন্তু ভালোবাসার ক্ষমতা অসীমের চেয়েও অসীম। মানুষের সেবা ও সৃষ্টির সেবাতেই স্রষ্টার সন্তুষ্টি। আর সেজন্যই বলতে হয়, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নেই, নহে কিছু মহীয়ান।’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘ইশারা ভাষা দিবস উপলক্ষে মানুষকে ভালোবেসে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা, চেতনা, স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা সবাই যদি এগিয়ে আসি এবং স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভালোবাসা দিয়ে ইশারাভাষীদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে পারি, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণে আমরা সফল হবো।’
ইশারাভাষীদের পুনর্বাসন জরুরি মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘ইশারাভাষীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর যে অনুপ্রেরণা, যে উৎসাহ, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আজকে যাদের জন্য এই আয়োজন তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী অনেক চিন্তা করেন। আর এ জন্য ইশারাভাষীদের সমাজের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসাতে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী, বাংলাদেশে যে পরিমাণ ইশারাভাষী আছেন, তাদের নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে আর কী কী কল্যাণমূলক কাজ করা যায়, তা খুঁজে বের করতে হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সবাই প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণের জন্য আরও কার্যক্রম পরিচালনা করবো’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের মহাসচিব ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ড. সেলিনা আখতার। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুশান্ত কুমার প্রামাণিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসডিএসএল এর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা, বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ ইশারাভাষীরা উপস্থিত ছিলেন।