সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীরা যাতে কোনও ধরনের গণ্ডগোল করতে না পারেন সেজন্য তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছে যে তারা কড়া নজরদারি রাখবেন। বিশেষ করে কাউন্সিলর প্রার্থী যারা আছেন, তারা যাতে কোনও ধরনের গণ্ডগোল বা অন্য কোনও বিষয়ে চিন্তা না করতে পারেন তাই আগেই তাদের মুভমেন্টগুলো ফলো করা হবে। সেরকম কোনও কিছু দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন ও দুই সিটির ৩৬ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সিটির ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা
ইসি সচিব বলেন, ‘আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন এবং নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরবর্তীকালে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ২২ এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে ২৭টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ১৮টি, র্যাবের মোবাইল টিম থাকবে ২৮টি এবং বিজিবির মোবাইল টিম থাকবে ২৭টি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পুলিশের মোবাইল ফোর্স থাকবে ৯টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৬ টি এবং র্যাবের মোবাইল টিম থাকবে ৯ টি এবং বিজিবির মোবাইল টিম থাকবে ৯টি।এছাড়াও র্যাব ও বিজিবি আলাদা ভাবে কিছু মোবাইল টিম ওয়েটিংয়ে রাখবেন। প্রয়োজন হলে যাতে তারা মুভ করতে পারেন।’
কোনও হুমকি নেই
ইসি সচিব জানান, ‘গোয়েন্দা বাহিনীর পক্ষ থেকেও আমাদের বলা হয়েছে, ভোট বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনও থ্রেট উনারা এখন পর্যন্ত পাননি বা এই ধরণের কোনও আশঙ্কা নেই।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনের পরিবেশ সঠিক রাখার জন্য এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধানরা আছেন, তারা নিশ্চিত করেছেন এবং নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন এমন কোনও পরিবেশ সৃষ্টি হবে না যার কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারেন। সে জন্য কোনও আশঙ্কা নেই। ভোটের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে।’
দিক নির্দেশনা
সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনও নির্দেশনা ছিল কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এর আগে সম্প্রতি আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে। আর এটা যেহেতু একটা মেগা সিটি এবং বিভিন্ন অঞ্চলের ভোটাররা এখানে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেন, তারা যাতে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সে ব্যাপারে উনারা (নির্বাচন কমিশনাররা) দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
তিনি জানান, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেছেন, উনারা সর্বোচ্চ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবেন। যেহেতু হাতের কাছেই ভোটকেন্দ্র তারা সুন্দর সমন্বয় করে এই নির্বাচনটিকে তারা তুলে নিয়ে আসবেন।’