চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান বলেছেন, ‘ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। এই এলাকাটি খুব জনবহুল। তাই আগুন লাগার পর আমরা মুভ করতে পারছিলাম না। তবে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সবাই মিলে আগুন নেভানো হয়েছে। এই এলাকাগুলো সার্ভে করে ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থের কারখানা সরানোর কথা বলেছিলাম। এখন তারা যদি গোপনে ব্যবসা করে তাহলে তো আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কিছু করার নেই। সিটি করপোরেশনকে সরানোর দায়িত্ব নিতে হবে। এখন সময় এসেছে পদক্ষেপ নেওয়ার। না হলে আরও বড় ও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে।’
আজ বৃহস্পতিবার চকবাজার থানার চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের সামনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আলী আহাম্মেদ খান জানান, এখন পর্যন্ত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সার্চ অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, ‘আগুন নেভানোর কাজ শুরুর পর পানি স্বল্পতা হয়েছিল। পরে সেটা সমাধান করা হয়।’ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই কর্মকর্তা জানান, ‘ওই সময় রাস্তায় যানজট ছিল। তাই আগুন লাগার পর কেউ বের হতে পারেনি। আগুনে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আমরা খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কাজ করেছি।’
আগুনের সূত্রপাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জান পেরেছি, একটি পিকআপের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটেই দ্রুত চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পাশে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন বড় আকার ধারণ করে। বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের কেউ ধারে কাছেও আসতে পারছিল না। গলিগুলোও খুব সরু। এ কারণে কাছে এসে কাজ করা কঠিন।’
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটা খুব জনবহুল এলাকা, প্রচুর মানুষ থাকে। তবে আমরা চেষ্টা করি এধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখার। মানুষ সচেতন না হলে যেকোনও বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। এধরনের এলাকার বিষয়ে এখনি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন-
আগুন দেখে শাটার বন্ধ, ভেতরে দগ্ধ হয়ে বেশিরভাগের মৃত্যু
আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারের: ওবায়দুল কাদের