আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস। একইসঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত হবে সারাদেশে। ওই দিন সারাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ৫৫০টি উপজেলা, জোন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার ৭৩ হাজার ৭৬৮টি কেন্দ্র, ১ হাজার ৫শটি মডেল রিসোর্স সেন্টার, ১ হাজার ১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, ৫০টি ইসলামিক মিশন, ১৯টি পুরাতন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, মসজিদ পাঠাগার শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের ৫৫৫টি মডেল লাইব্রেরি এবং ইসলামিক মিশনের ৪৬৩টি মক্তবে ১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে।
এরপর প্রতিটি ইউনিয়নের গণশিক্ষার প্রাক-প্রাথমিক, সহজ কোরআন শিক্ষা ও দারুল আরকাম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে সকাল ৮টায় শিশু সমাবেশ ও র্যালি এবং সকাল ৯টায় ৭ মার্চের ভাষণ, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা এবং কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর সকল উপজেলা এবং মহানগরের বিভিন্ন জোনে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী’ এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘ইসলাম প্রচার প্রসারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা এবং ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয়ভাবে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সকাল ১০টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর দেশের প্রতিটি মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
