হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সূক্ষ্ম মাত্রায় ব্যবহার হয়। ঔষধের অন্যতম বাহক রেকটিফাইট স্পিরিট কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশের বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে, যেটি মাদক হিসেবে আইনে পরে। তাই, হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য আইন প্রযোজ্য নয় কথাটি উল্লেখের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস ফাউন্ডেশন।
শনিবার ১৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ওমর কাওছার এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সূক্ষ্ম মাত্রায় ব্যবহার হয়। ওষুধের অন্যতম বাহক রেকটিফাইড স্পিরিট। বিদেশ থেকে যে সব ওষুধ আমদানি হয় সেসব ওষুধ শক্তিশালীকরণের জন্য রেকটিফাইড স্পিরিট ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দ্বারা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু কিছুদিন পরপরই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর আমাদের হেনস্থা করছে। কারণ, মাদক দ্রব্য আইনে কোনও দ্রব্যে ৫ শতাংশের বেশি অ্যালকোহল থাকলে তা মাদক। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এর কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশের বেশি রেকটিফাইড স্পিরিট থাকে, সেই হিসেবে এটি মাদক আইনে পরে। তাই, আমরা চাই হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ক্ষেত্রে এই মাদক আইন প্রযোজ্য নয় কথাটি মাদকদ্রব্য আইনে লেখা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আইন ছাড়া একটি চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে চলে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাই আমরা অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন ২০১৮ পাস করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাপক সফলতা আনতে হলে উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণার জন্য হোমিওপ্যাথিক ইউনিভার্সিটি এখন সময়ের দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য হোমিও ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন।