প্যারিসে বাংলাদেশের দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাসহ প্যারিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে।
৭১টি মোমবাতি প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে দূতাবাসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ শ্রীমত ভগবত গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ শেষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রূহের মাগফেরাত ও দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’ প্রদর্শিত হয় যা উপস্থিত সবাইকে আবেগতাড়িত করে তোলে। এরপর দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জনগণের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, বিশশতকের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যাগুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশে সংগঠিত হয়। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। বর্তমান সরকার ২৫শে মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করেছে। সরকার বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে এবং বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি গণহত্যা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি আদায় নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য সবাইকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
সবশেষে গণহত্যায় নিহত শহীদদের স্মরণে দূতাবাসের সব আলো নিভিয়ে এক মিনিট ব্ল্যাক আউট পালন করা হয়।