অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘ব্যাংকিং ব্যবস্থা খুব ভালো আছে এটা বলবো না। তবে খুব খারাপও নেই। এই খাতের উন্নয়নে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি হচ্ছে। অনেকেই খেলাপি ঋণের বিপরীতে কোনও উদ্যোগ নিতে পারছেন না। মামলা করতে পারছেন না। এসব বিষয়ে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি উদ্যোগ নেবে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)-এর সভাকক্ষে আয়োজিত অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর সদস্যদের সঙ্গে প্রি-বাজেট বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ‘অসততা আমাকে স্পর্শ করেনি, করবেও না। আমি অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। সাধারণ মানুষের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমি অনুরোধ করব, এই দেশটা আমাদের। দেশের ক্ষতি হয়, দেশের মানুষের চলার পথে যেন প্রতিবন্ধকতা না হয়, সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
এর আগে তিনি দেশের এনজিও নেতা, ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথকভাবে একই ধরনের বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান করপোরেট ট্যাক্স কমানোর দাবি জানিয়ে বলেন, ‘সংবাদপত্র প্রকাশে বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়ছে। ভ্যাট আইনে সংবাদপত্রে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া আছে। এরপরও ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা করপোরেট কর প্রত্যাহার করতে হবে।’
সাংবাদিকদের বাড়ি ভাড়া হিসেবে পরিশোধিত অর্থকেও শতভাগ করমুক্ত রাখার দাবি জানান মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ি ভাড়ায় করমুক্তি রয়েছে। বর্তমান বেতন কাঠামোতে সাংবাদিকদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয় ৭০ শতাংশ।’ অবশিষ্ট ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ায় কর প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘ইলেকট্রনিক টেন্ডারের কারণে সরকারের বিজ্ঞাপনের পরিমাণ কমে এসেছে। বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও এর পরিধি থাকে তুলনামূলক কম। এ অবস্থায় সরকারি বিজ্ঞাপনের দর বাড়ানো ও বিজ্ঞাপনের ভ্যাট অব্যাহতি প্রয়োজন।’ ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমকে শিল্প ঘোষণা করে এই খাতে ব্যাংক ঋণ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন তিনি।