X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ শুরু না হলে পদত্যাগ করবো: সংসদে বাদল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ জুন ২০১৯, ২৩:১৫আপডেট : ২৫ জুন ২০১৯, ২৩:৫১

সংসদে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে যা বললেন বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাইন উদ্দিন খান বাদল এমপি। জাতীয় সংসদ শুধু ‘জি হুজুর’ বলার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল। গত ১০ বছর ধরে সংসদে কথা বলে এলেও তার প্রতিফলন হয়নি বলে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে এ মন্তব্য করেন। এ সময় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তার নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু না হলে সংসদ থেকে পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যদের মর্যাদা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই সংসদ সদস্য। স্পিকারকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করে তিনি বলেন, বহুবার বলেছি সংসদ সদস্যদের মর্যাদাটা দেখতে হবে। আপনি মন্ত্রী হবেন। আপনার প্রটোকল ৫ নম্বর। আর সংসদ সদস্যদের প্রটোকল সরকারি কর্মকর্তাদের নিচে দিয়ে দেবেন। হোয়াট ইজ দিস? মন্ত্রী হবেন ভালো থাকবেন, আর যারা সদস্য সংসদ সদস্য, তারা? সারা দেশে সাধারণ কর্মচারীদের সম্মানটা তারা পায় কিনা সেটা খোঁজ করে দেখুন।

একজন গৃহশিক্ষকের সঙ্গে কথোপকথনের উদাহরণ দিয়ে বাদল বলেন, ‘বকাউল্লা হয়ে যেখানে আছি সেখানে ১০ বছর বকছি। বকে কিছু হয়নি। আর গরিবুল্লাহর মতো সেদিকে তাকাই, ফ্যা ফ্যা করে তাকাই। মাঝে মধ্যে সুপারিশ আর নির্দেশ মোতাবেক আহা বেশ বেশ করি।’

আই উইল নট লেট বেয়ার ইট

কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান ও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। ওদেরটা না মেনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানও আবার এটা করেছে। এই প্রজেক্টের নির্মাণ খরচ হলো ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে জিওবি ৩৭৯ কোটি। বাকি পুরো টাকা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। মাত্র ০.০১% সুদে ৪০ বছরে এই অর্থ পেমেন্ট করতে হবে। কিন্তু, কিছুই হলো না। এতকিছুর পরও বলবেন হাজার হাজার কোটি টাকার প্ল্যান পাস হচ্ছে। উন্নয়ন হচ্ছে। আমি বকা উল্লা আমার এলাকায় গিয়ে কী বলবো? ডিসেম্বরের মধ্যে যদি এটার কোনও সদগতি না দেখি, আই উইল গো আউট ফ্রম দ্য পার্লামেন্ট। আমি চলে যাবো। এরকম অপমান নেওয়া যায় না। ৫০ হাজার লোক ওই রাস্তা দিয়ে ক্রস (যাতায়াত) করে প্রতিদিন। ৫০ হাজার লোক আমার মৃত মাকে গালি দেয়। আই উইল নট লেট বেয়ার ইট।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কী রকম সরকার চলছে? যিনি মন্ত্রী হবেন তিনি উনার বাড়িতে কাজ নিয়ে যাবেন। তাহলে আমরা কী? কিসের জন্য এই সংসদ।’

এটা কী তামাশার দেশ পাইছেন?

পরিকল্পিতভাবে প্রকল্প গ্রহণ না করা এবং বারবার খরচ বাড়ানোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এটা কী তামাশার দেশ পাইছেন? প্রকল্পের খরচ ২০ হাজার কোটি। সেই খরচ এখন হচ্ছে এক লাখ কোটি টাকা। একটা ব্রিজের কাজ শুরু করেন। বলেন, এটার খরচ ২০ হাজার কোটি। এখন কত কোটি? কী কারণে এটা হবে। যারা প্রজেক্ট বানায় তাদের ধরে পেটানো উচিত। তুমি আমার দেশের টাকা নিয়ে তামাশা করো?’
তিনি বলেন, ‘মাতারবাড়িতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এক লাখ কোটি টাকা দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন করছেন? ‘হু উইল পে দিজ এক্সপেনসেস?’’

/ইএইচএস/টিএন/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উত্তরাসহ দেশের চার পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
উত্তরাসহ দেশের চার পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
রনির ব্যাটে প্রাইম ব্যাংককে হারালো মোহামেডান
রনির ব্যাটে প্রাইম ব্যাংককে হারালো মোহামেডান
কুড়িগ্রামে বৃষ্টির জন্য নামাজ, এপ্রিলে সম্ভাবনা নেই বললো আবহাওয়া বিভাগ
কুড়িগ্রামে বৃষ্টির জন্য নামাজ, এপ্রিলে সম্ভাবনা নেই বললো আবহাওয়া বিভাগ
‘উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে’
‘উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে’
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা