বিদেশে পাচারের উদ্দেশে ঢাকায় নিয়ে আসা ৭ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। বিদেশ যাওয়ার অনুমোদন পেতে বুধবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এই রোহিঙ্গারা পশ্চিমা একটি দেশে যাওয়ার জন্য দূতাবাসে যোগাযোগ করে। দূতাবাস থেকে জানানো হয়, সরকারের অনুমোদন ছাড়া ভিসা দেওয়া যাবে না। এরপর অনুমোদনের জন্য তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই রোহিঙ্গারা ২৭ নম্বর ক্যাম্প থেকে ঢাকায় এসেছেন বলে তারা জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, সাধারণ রোহিঙ্গাদের প্রতারিত করে সুমদ্রপথে বিভিন্ন দেশে পাচারের জন্য একটি দালালচক্র সক্রিয় রয়েছে।
সুমদ্রপথে রোহিঙ্গাদের থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া পাঠাতে দালালচক্রটি একটি নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে কাজ করে থাকে বলে তিনি জানান।
এই চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশিরাও জড়িত আছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এদের থামানো না গেলে ভবিষ্যতে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে।’
তিনি বলেন, অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তারা বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি করছে। কারণ, রোহিঙ্গারা যখন ধরা পড়ে তখন বাংলাদেশের নাম বলে থাকে এবং এর ফলে আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য যে কাজ করছি, সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এর আগে থেকে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।