বরগুনায় রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার সঙ্গে দলীয় কারও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে যে-ই হোক। কোনও ছাড় নেই। এসব বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে শৈথিল্য প্রকাশের কোনও সুযোগ নেই। দলের সভাপতি অত্যন্ত কঠোর। আপনারা দেখেছেন, যেকোনও ধরনের নাশকতার সঙ্গে যুক্ত দলীয় অনেক নেতা কারাগারে আছে, জেল খাটছে, মামলার পেছনে দৌড়াচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস, সেক্রেটারি শামীম আহমেদ ও নির্বাচিত নেতারা মতবিনিময়ে অংশ নেন।
নয়ন বন্ডকে ক্রসফায়ারে দিয়ে কাউকে আড়াল করা হচ্ছে কিনা—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। নয়ন পুলিশকে লক্ষ্য করে বন্দুক তাক করেছিল, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তাকে গুলি করে।’
পদ্মা সেতুর সোয়া দুই কিলোমিটার দৃশ্যমান
পদ্মা সেতুর অগ্রগতি জানাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেতুর ১৪ নম্বর স্প্যান বসেছে। এর মধ্য দিয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার সেতুর সোয়া দু্ই কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে কোনও জটিলতা নেই, দ্রুত কাজ এগিয়ে চলেছে। তবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বের খরস্রোতা নদীগুলোর মধ্যে পদ্মা অন্যতম। আবহাওয়া ভালো থাকলে ঘন ঘন স্প্যান বসবে।’
‘প্রহসন’ বলা বিএনপির অভ্যাস
১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার (তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা) ট্রেনবহরে হামলার মামলাকে বানোয়াট ও সাজানো বলে যে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তার জবাব দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এটা তাদের চিরাচরিত অভ্যাস। রায় বিরুদ্ধে গেলেই তারা এরকম বিরোধিতা করে। দেরিতে হলেও এই বীভৎস হামলার বিচার হয়েছে। ২৫ বছর আগের ঘটনা কী বিভীষিকাময় ছিল, তা ওই সময় যারা না ছিল তাদের ছাড়া বলে বোঝানো যাবে না। রায় দিয়েছেন আদালত। তা প্রত্যাখ্যান বা প্রত্যাহারে ফখরুলের দাবি আদালত বিবেচনা করবে। সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। বিএনপি সাজা পেলেই প্রহসন বলে ও রায় মানে না। তাদের মহাসচিবের বক্তব্য চিরাচরিত।’
৫ নম্বর গেট দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ
বিএসআরএফ সদস্যরা দাবি জানান অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকরা যাতে ৫ নম্বর গেট (প্রেস ক্লাবের সামনে) দিয়ে বিনা বাধায় সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারেন। এ দাবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই গেট দিয়ে সাংবাদিকরা যাতে বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারেন সে বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। যেহেতু বিষয়টি তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত, তাই তাদের সঙ্গেও কথা বলবো।’
আরও পড়ুন-