এবারের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট আগামী ২৯ জুলাই থেকে বিক্রি শুরু করবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রেল ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন ২৯ জুলাই টিকিট বিক্রি শুরু হবে, চলবে ২ আগস্ট পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ১২ আগস্ট ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে, সেই হিসেবে টিকেট বিক্রি করা হবে। ২৯ জুলাই দেওয়া হবে ৭ আগস্টের টিকিট। ৩০ জুলাই ৮ আগস্টের, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট দেওয়া হবে ১০ আগস্টের এবং ২ আগস্ট বিক্রি হবে ১১ আগস্টের টিকেট।
রেলপথ মন্ত্রী জানান এবার ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর কমলাপুর ছাড়াও আরও চারটি জায়গা থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট মিলবে বিমানবন্দর স্টেশনে। রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী ট্রেনের টিকিট। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে বনানী স্টেশন থেকে। পুরুলিয়ার পুরাতন বিল্ডিং থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে।
রেলমন্ত্রী জানান, টিকিটের ৫০ শতাংশ বিক্রি হবে কাউন্টার থেকে বাকি ৫০ শতাংশ মোবাইল অ্যাপ এবং অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। তবে মোবাইল অ্যাপস এবং অনলাইনে টিকিট সকাল ছয়টা থেকে বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী।
এছাড়া ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া চারটি বিশেষ ট্রেনের টিকেট কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।
ঈদুল ফিতরের আগে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট কিনতে যাত্রীদের ভোগান্তি হয়েছে। এবারের ঈদের আগে টিকিট কিনতে গেল এমন হবে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সিএনএসবিডি তাদের সক্ষমতা আগের চেয়ে বাড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গত ঈদের পরে আমরা তাদের সঙ্গে বসেছিলাম, তারা আমাকে জানিয়েছে অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট বিক্রির সক্ষমতা বাড়িয়েছে। ঈদুল ফিতরের সময় প্রতি মিনিটে তাদের সার্ভার ১৫ হাজার হিট নিতে পারতো। এবার প্রতি মিনিটে এক লাখ হিট নিতে পারবে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি, সে কমিটি বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দেবে।
গত ঈদের মতো এই ঈদে কোটার বাইরেও কেউ টিকিট নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।