X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের মানবপাচার আইন সংশোধনের চেয়ে প্রয়োগ বেশি জরুরি: জন কটন রিচমন্ড

সাদ্দিফ অভি
০৭ আগস্ট ২০১৯, ১৩:৩৭আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০১৯, ২০:০০

জন কটন রিচমন্ড

বাংলাদেশে মানবপাচার রোধে ‘মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২’ নামে একটি কঠোর আইন আছে। এরপরও এখানকার মানবপাচার পরিস্থিতি আগের মতোই। এ কারণে মানবপাচারের মতো অপরাধ দমনে আইন সংশোধনের চেয়ে বাস্তবায়নের ওপরে বাংলাদেশের বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, এমনটাই মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবপাচার পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলা বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ জন কটন রিচমন্ড।

বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়া, মানবপাচার বন্ধে বাংলাদেশের জন্য কিছু পরামর্শও তুলে ধরেন তিনি।

বাংলা ট্রিবিউন: ‘ট্রাফিকিং ইন পারসন’ রিপোর্টের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়?

জন কটন রিচমন্ড: আমরা বিশ্বের ১৮৭টি দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে থাকি। প্রথমে বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে তথ্য নিই। প্রতিটি দেশের সরকারের সঙ্গে আমাদের দূতাবাসগুলো যুক্ত থাকে। কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে যেমন ‘থ্রি পি’— প্রসিকিউশন (মামলা), প্রোটেকশন (সুরক্ষা) এবং প্রিভেনশন (প্রতিকার) বিষয়ে আমরা তথ্য নিয়ে থাকি। আমরা সরকার, সুশীলসমাজের বক্তব্য জানতে চাই এবং প্রকাশিত সংবাদ সংগ্রহ করি। প্রতিটি দেশের রিপোর্ট তৈরির কাজে আমরা একটি মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার চেষ্টা করি। আমরা চাই, প্রতিটি দেশই মানবপাচার দমনে একটি ন্যূনতম স্ট্যান্ডার্ডে থাকুক, কিংবা থাকার চেষ্টা করুক।

বাংলা ট্রিবিউন:পাচারের শিকার বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। কেন তাদেরই বেছে নেওয়া হয় এবং তাদের ভাগ্যে কী থাকে বলে মনে করেন?

জন কটন রিচমন্ড: পাচারের শিকার নারী এবং শিশুদের ভাগ্যে কী থাকে, তা নির্ভর করে পাচারকারীর ওপরে। সে কীভাবে কোথায় পাচার করছে এবং কী উদ্দেশ্যে। কখনও পাচারকারীরা জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করছে, যৌনদাসী হিসেবে পাচার করছে। বিভিন্ন সময়ে তারা পাচারের জন্য নানা উপায় বের করছে। কিছু কিছু উপায় আছে, যা অত্যন্ত ভয়ানক। কোনও কোনও সময় পাশবিক নির্যাতনও চালানো হয়। আবার কখনও হুমকি-ধমকি দিয়েও কাজ করানো হয়। পাচারের শিকার ব্যক্তিরা ভয়ে, লজ্জায় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায়, নিরুপায় হয়ে তাদের ফাঁদে আটকা পড়ে। পাচার দমনে জাতিসংঘের ঘোষিত প্রটোকল অনুযায়ী, ২০০০ সালেই যুক্তরাষ্ট্র ট্রাফিকিং ভিকটিম প্রটেকশন অ্যাক্ট তৈরি করে। বাংলাদেশ একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ২০১২ সালে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন চালু করে।’       

জন কটন রিচমন্ড

বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী কর্মী মধ্যপ্রাচ্যে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। তার মধ্যে অনেকেই আবার অল্প সময়ের মধ্যে দেশে ফিরে আসছেন। ফিরে আসার কারণ হিসেবে তারা সেখানকার নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। আপনার কাছে কী মনে হয়, কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া এসব কর্মী আসলে এক ধরনের পাচারের শিকার হচ্ছে?

জন কটন রিচমন্ড: হতেও পারে! মানবপাচারের একটি অংশ হচ্ছে জোরপূর্বক শ্রম। যেকোনও মানুষেরই যেকোনও জায়গায় কাজ করার স্বাধীনতা আছে। এক্ষেত্রে যেটা হয় তা হলো—পাচারের শিকার ব্যক্তিরা স্বেচ্ছায় না করে জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য হচ্ছেন, এটিকেই আমরা মানবপাচার বলি। সুতরাং, এটা জোরপূর্বক কাজের নামে পাচার নয়, জোরপূর্বক কাজে বাধ্য করানোই হচ্ছে মানবপাচার। বিশ্বব্যাপী এটি অনেক বড় আকারে হচ্ছে। সেসব দেশে ‘থ্রি-পি’ বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, আমরা তা নিশ্চিত করতে চাই। যারা বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন, তারা এই ধরনের ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যথাযথ সেবা পাচ্ছেন কিনা, আমরা সেটাও নিশ্চিত করতে চাই।

বাংলা ট্রিবিউন:স্টেট ডিপার্টমেন্টের সর্বশেষ প্রকাশিত ‘ট্রাফিকিং ইন পারসন’ রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়বারের মতো একই কেন বলে মনে করেন?

জন কটন রিচমন্ড: ‘টায়ার টু ওয়াচ লিস্ট’ চারটি র‌্যাংকিংয়ের মধ্যে এমন একটি স্তর যেখানে কোনও দেশ ন্যূনতম মান নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে তাদের সেখানে রাখা হয়। আমরা দেখেছি, কম সংখ্যক পাচারের শিকার ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে, অভিযোগ তদন্তের হারও অত্যন্ত কম, মামলা নিষ্পত্তির হারও যথেষ্ট কম এবং পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সেবা প্রদানের হারও কম। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হয়ে কাজ করতে চাই, যাতে এই পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখতে পারি।

বাংলা ট্রিবিউন:মামলা নিষ্পত্তির দিক থেকে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান আপনার কাছে কেমন মনে হয়?

জন কটন রিচমন্ড:আমরা এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের তুলনা করি না। শুধু একটি দেশ আগের বছরের রিপোর্টের তুলনায় কতটুকু কাজ বেশি করলো, সেটা অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে রিপোর্ট তৈরি করি। বাংলাদেশের অবস্থান ভালো কিংবা খারাপ সেটা বিষয় না, মূল বিষয় হচ্ছে—বাংলাদেশ নিজস্ব মান ধরে রাখতে পারছে কিনা। মানবপাচার বন্ধে প্রতিনিয়ত কার্যকর পদক্ষেপের পরিমাণ বাড়ছে কিনা, তার ওপরে টিআইপি রিপোর্ট নির্ভর করে।

বাংলা ট্রিবিউন:টিআইপি রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশের অবস্থান টায়ার থ্রি’তে হওয়ার কথা থাকলেও এক ধরনের ‘সুযোগ’ দিয়ে টায়ার টু ওয়াচ লিস্টে রাখা হয়েছে, এই সুযোগ দেওয়ার কারণটি যদি বলেন…

জন কটন রিচমন্ড: কোনও দেশের অবস্থান পরপর দুই বছর ‘টায়ার টু ওয়াচ লিস্টে’ হলে তাকে একটি ‘ওয়েভার’ দেওয়া হয়। আমরা খুশি হয়েছি যে, বাংলাদেশকে ওয়েভার দিয়ে টায়ার টু ওয়াচ লিস্টে রাখার আবেদন সেক্রেটারি গ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো টায়ার টু ওয়াচলিস্টে অবস্থান করছে।         

বাংলা ট্রিবিউন:২০২০ সালেও যদি এই অবস্থানের পরিবর্তন না হয়, তাহলে কী হবে?

জন কটন রিচমন্ড:একটি দেশ সর্বোচ্চ তিনবার টায়ার টু ওয়াচ লিস্টে থাকতে পারে। যদি তৃতীয়বারের মতো টায়ার টু ওয়াচ লিস্টে থাকার পরও আগামী বছর টায়ার টু-তে উন্নীত না হয়, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান টায়ার থ্রি-তে হবে।

বাংলা ট্রিবিউন:মানবপাচারের মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি কি বর্তমান পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাবে?

জন কটন রিচমন্ড: পাচারের শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য মামলাগুলো দ্রুত পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। পাচারকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ভিকটিমদের সম্মান রক্ষা করতে হবে। যখন মামলাগুলো তদন্ত হবে, তখন অভিযোগকারীর বিশেষ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শাস্তি নিশ্চিত করার পরও সারভাইভারদের প্রতি যথাযথ খেয়াল রাখতে হবে।

বাংলা ট্রিবিউন:বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পাচার ঠেকাতে ক্যাম্পের বাইরে অবাধ চলাচল এবং সাধারণ জীবনযাত্রা ও শিক্ষা প্রদানের একটি সুপারিশ টিআইপি রিপোর্টে করা হয়েছে, এই সুপারিশ ক্যাম্পগুলো থেকে পাচাররোধে কীভাবে প্রভাব ফেলবে? 

জন কটন রিচমন্ড: আমরা উদ্বিগ্ন অরক্ষিত বিষয়টি নিয়ে। একজন মানুষ যত বেশি অরক্ষিত থাকবে, পাচারকারীরা তাকে পাচারের জন্য তত বেশি সুযোগ খুঁজবে। এরকম অরক্ষিত কাউকে পেলে পাচারকারীরা খুব সহজেই পাচার করতে উদগ্রীব হয়। অরক্ষিত মানুষদের পাচারের কাজে খুব কম চেষ্টাতেই কাজ হয়। তাই রোহিঙ্গারা অরক্ষিত হতেও পারে, আবার পাচারকারীরা তাদের টার্গেট করতেও পারে। তাই আমরা এই সম্ভাব্যতা কমাতে বাংলাদেশ সরকারের অংশীদার হতে চাই।

বাংলা ট্রিবিউন: ক্যাম্প থেকে বের হয়ে অবাধে চলাচলের সুযোগ করে দিলে আরও বেশি অরক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা?

জন কটন রিচমন্ড: এই বিষয়টি রোহিঙ্গা বিশেষজ্ঞ যারা আছেন, তারা আরও ভালো বলতে পারবেন। তবে একটি কথা বলতে চাই, পাচারকারীরা রোহিঙ্গাদের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে।

বাংলা ট্রিবিউন:  আপনি কি মনে করেন বাংলাদেশে ‘মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২’ সংশোধন হওয়া উচিত?  

জন কটন রিচমন্ড: এ বিষয়ে অন্যদের চেয়ে আমার মত একটু ভিন্ন। একটি আইন সংশোধনের পেছনে যে পরিমাণ শ্রম এবং সময় ব্যয় হয়, তাতে আমি সংশোধনে আগ্রহী না। আইন যেভাবে আছে, আমি সেভাবেই প্রয়োগের ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। তার মানে এই নয়, আইনের আরও উন্নয়ন করা যাবে না, করা যাবে। কিন্তু আমার মনে হয় না, যেসব মানুষ পাচারের শিকার, তারা আইন সংশোধনে আগ্রহী, আমার মনে হয় তারা চায় আইনের সঠিক প্রয়োগ। তারা চায় তাদের অবর্ণনীয় দুঃখের অবসান হোক।

বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদককে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন জন কটন রিচমন্ড

বাংলা ট্রিবিউন: আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) একটি গবেষণা বলছে, পাচারের শিকার বেশির ভাগ ব্যক্তিই দেশের অভ্যন্তরেই শোষণের শিকার হয়, বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ পাচার নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী? বাংলাদেশ সরকার এটা কীভাবে দমাতে পারে?

জন কটন রিচমন্ড:এক নম্বর উপায় হচ্ছে— এই বিষয়ে খোঁজ করতে হবে। দমানোর প্রথম উপায় এটি যে আছে, তা বিশ্বাস করতে হবে এবং খুঁজতে হবে। এটি অনেকভাবেই থাকতে পারে, যেমন—শিশুদের যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা, বিভিন্ন শিল্প কারখানায় জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা। যেটা করতে হবে তা হলো— গুরুত্বের সঙ্গে অভিযোগগুলো তদন্ত করতে হবে। যখনই এরকম কোনও ঘটনা পাওয়া যাবে, তখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।    

বাংলা ট্রিবিউন: মানবপাচাররোধে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে? 

জন কটন রিচমন্ড: আমরা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে চাই। একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এটা করতে পারি। এখানে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে করতে পারি, প্রসিকিউটর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রাম আছে। আমাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, আমরা করবো।

প্রসঙ্গত, জন কটন রিচমন্ড যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলা বিষয়ক অ্যামবাসেডর-অ্যাট-লার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ওই দফতরে এ সংক্রান্ত কার্যালয়ের প্রধান। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সিনেট তার নিয়োগ সর্বসম্মতিক্রমে নিশ্চিত করে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে মানবপাচার প্রতিরোধ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক তৎপরতায় নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেন। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন দফতরের মানবপাচারবিরোধী কার্যক্রমের সমন্বয়ে সহায়তা করাও তার দায়িত্ব।

জন কটন রিচমন্ড ২০১৮ সালে যৌথভাবে প্রথম ফেডারেল মানবপাচার প্রতিবেদন রচনা করেন। ওই প্রতিবেদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল পর্যায়ের সব পাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। এর আগে অ্যামবাসেডর রিচমন্ড ১০ বছরের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের মানবপাচার প্রসিকিউশন ইউনিটে ফেডারেল প্রসিকিউটর হিসেবে কাজ করেন। ওই পদে থাকাকালে তিনি শ্রম ও যৌন উদ্দেশ্যে পাচারের অনেক ঘটনার তদন্ত ও বিচার করেন। ক্রুশ পোড়ানো, পুলিশের অসদাচরণ ও নব্য নাৎসিদের বিদ্বেষমূলক অপরাধেরও বিচার করেন রিচমন্ড। তিনি নিয়মিত জাতিসংঘের মানবপাচার বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশনের দাসত্ববিরোধী কার্যক্রম এগিয়ে নিতে তিন বছর ভারতেও ছিলেন তিনি।

মানবপাচারবিরোধী কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জন রিচমন্ড অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেডারেল ল এনফোর্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রসিকিউটর অব দ্য ইয়ার, নাগরিক অধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ডেভিড অলরেড অ্যাওয়ার্ড, দু’বার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের আউটস্ট্যান্ডিং ইনভেস্টিগেটিভ অ্যাকমপ্লিশমেন্টস ইন এ হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যাওয়ার্ড, শেয়ার্ড হোপ ইন্টারন্যাশনালের প্যাথব্রেকার অ্যাওয়ার্ড ফর ইনোভেশন্স ইন কমব্যাটিং হিউম্যান ট্রাফিকিং এবং দু’বার বিচার বিভাগের স্পেশাল কমেন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড।

ছবি: নাসিরুল ইসলাম

 

/এপিএইচ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী