X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্রেক্সিট-পরবর্তী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় সরকার

শেখ শাহরিয়ার জামান
০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:০০আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ১১:০১

 

বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২৮ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এই প্রেক্ষাপটে ইইউ জোটভুক্ত অন্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আরও যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার। উদ্দেশ্য, ইউরোপের সবচেয়ে বড় জোট ইইউ-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইইউ-তে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট কোনও বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ হতো যুক্তরাজ্যের সঙ্গে। কারণ, আমরা একে অপরকে ভালোমতো বুঝি।’

কিন্তু তারা যেহেতু ইইউ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, এর ফলে একটি শূন্যতা তৈরি হবে। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করে তারা এই শূন্যতা পূরণ করতে চান বলে জানান তিনি।

ইইউ’র রাজনৈতিক বলয়

ইইউ-এর প্রধান ৩ সংস্থা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কাউন্সিল এবং ইউরোপিয়ান কমিশনে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এই ৩ দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। তবে সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক যুক্তরাজ্যের সঙ্গে।

এ বিষয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইইউ-এর ৩টি সংস্থার রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা ভিন্ন এবং তাদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হওয়ার জন্য আমাদের যোগাযোগও ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কাউন্সিলে ২৮ দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা সদস্য এবং ওইসব দেশে আমাদের যে দূতাবাস আছে, তারাও এই কাউন্সিলে বাংলাদেশ বিষয়গুলো দেখাশুনা করে।’

ইইউ-এর সদর দফতর ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাস ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ও ইউরোপিয়ান কমিশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখে বলে তিনি জানান।

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট

এই পার্লামেন্টে সিট সংখ্যা জনসংখ্যার অনুপাতে নির্ধারিত হওয়ায় জার্মানি সবচেয়ে বেশি, ৯৬। কারণ তারা সবচেয়ে জনবহুল। এরপর ৭৪টি আসন নিয়ে আছে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের আসনসংখ্যা ৭৩। দেশটির এই ৭৩ আসনের সদস্যদের অনেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখে সরকার। কারণ, পার্লামেন্টে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে কোনও বিতর্ক হলে বা রেজ্যুলেশন গ্রহণের সম্ভাবনা থাকলে এর নেতিবাচক প্রভাব কমানো এবং ইতিবাচক অবস্থান তৈরিতে এই সদস্যরা ভূমিকা রাখতে পারেন।

সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্রেক্সিটের পরে যুক্তরাজ্যের এই প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। কারণ, তারা এই জোট থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝি একটি শূন্যতা হবে এবং আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা পরিকল্পনা করছি।’

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য অথবা তারা যে অঞ্চলে থাকে সেখানকার জনপ্রতিনিধির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ভারতীয় বা পাকিস্তানিরা অনেক আগে থেকে ইউরোপের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং তাদের বংশোদ্ভূতরা সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী হচ্ছেন বা হয়েছেন।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে মন্তব্য করে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটি রাতারাতি হবে না, কিন্তু এটি এখন শুরু করা হলে আগামী ১০ বা ১৫ বছর পরে একটি ভিন্ন চিত্র দেখতে পাবো।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এ কারণে ইইউ-এর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতো বাংলাদেশ।

/এইচআই/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!