ভারতের ত্রিপুরাকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। ত্রিপুরাকে যোগাযোগ সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছি। তারা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে ভারতের সঙ্গে করা সমাঝোতা চুক্তি এবং ত্রিপুরাকে পানি দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার বিষয়ে সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তখন তিনি ত্রিপুরাকে পানি দেওয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন। পাশাপাশি ত্রিপুরা এ দেশের সমুদ্র ও বিমানবন্দর ব্যবহার করলে আমরা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবো বলেও মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেটাই করছি তাতে দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। পানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ত্রিপুরাবাসীকে ফেনী নদীর যে পানি দেওয়া হচ্ছে, তা হচ্ছে খাবার পানি। কেউ খাবার পানি চাইলে, তা যদি না দেই, সেটা কেমন হয়! প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ আমাদের আগলে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। সেই ত্রিপুরায় সামান্য খাবার পানি দেওয়ার জন্য আপত্তি থাকতে পারে না।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের রামগড়ের সাবরম এলাকায় খাবার পানির খুব অভাব। তারা আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলে। ভারতের সঙ্গে খাবার পানির চুক্তি হয়েছে। মাত্র এক দশমিক ৮২ কিউসেক পানি নেবে তারা। আমরা যে পানি দিচ্ছি, তার পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য। এটা নিয়ে কেন এত চিৎকার, আমি জানি না। কেউ যদি পানি পান করতে চায়, আমরা যদি তা না দিই, সেটা কেমন হবে?