X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

সামুদ্রিক মৎস্য আইনে সাজা বাড়াতে বিল উত্থাপন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৮আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৫১

জাতীয় সংসদ অধিবেশন (ফাইল ফটো) জাতীয় সংসদে সামুদ্রিক মৎস্য বিল-২০২০ উত্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ খান খসরু বিলটি উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৯৮৩ সালে ‘দি মেরিন ফিসারিজ অর্ডিন্যান্স’ করা হয়েছিল। সামরিক শাসনামলে জারি হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে তা বাংলায় রূপান্তর করতে বিলটি আনা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা দিলে দুই বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমান আইনে তিন বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে মৎস‌্য আহরণের নৌযানের ক্ষতি করলে ২ বছরের জেল এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমান আইনে তিন বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
বিস্ফোরক ব্যবহার করে, অচেতন বা অক্ষম করে মাছ ধরলে তিন বছরের জেল বা এক কোটি টাকা দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল। বেআইনিভাবে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, মজুত বা বিক্রি করলে ২ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
নৌযান চিহ্নিতকরণে ব্যর্থতা, অর্থাৎ কেউ যদি বাংলাদেশের মৎস‌্য জলসীমায় মাছ ধরার নৌযান পরিচালনা এবং তা নির্ধারিত নিয়মে মার্কিং না করে তবে দুই বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে এ অপরাধে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। এছাড়া নৌযানে থাকা ব্যক্তিদের অপরাধের জন্য ওই নৌযানের স্কিপার দায়ী হবে। এ অপরাধে জরিমানার পরিমাণ পাঁচ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা এবং ২ বছরের জেলের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ জাল, সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে ২ বছরের জেল এবং ২৫ লাখ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কোনও বিদেশি জাহাজ এ আইনের অধীনে অপরাধ করলে তার মালিক, স্কিপার এবং নৌযানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা দায়ী হবেন। এর জন্য ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে এ অপরাধের জন্য তিন বছরের জেল এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী খসরু বলেন, আন্তর্জাতিক আইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্যসম্পদ নিরূপণ, পরিকল্পনা গ্রহণ, দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক অবৈধভাবে ও অতিরিক্ত মৎস্যসম্পদ আহরণ নিয়ন্ত্রণ, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে বিদ্যমান অধ্যাদেশ হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় বিলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

/ইএইচএস/ওআর/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঈদের ছুটি শেষে ভারত থেকে ফিরছেন যাত্রীরা, ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
ঈদের ছুটি শেষে ভারত থেকে ফিরছেন যাত্রীরা, ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
ভাসানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: একে একে চলে গেলেন ৩ জন
ভাসানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: একে একে চলে গেলেন ৩ জন
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতে নিহত ৩৯
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতে নিহত ৩৯
রাতে নামছে বার্সা-পিএসজি
রাতে নামছে বার্সা-পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ১৮ এপ্রিল
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ১৮ এপ্রিল
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি