X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এমপি পাপুল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ জুলাই ২০২০, ০৭:৪৯আপডেট : ০২ জুলাই ২০২০, ১০:৫৩

শহীদুল ইসলাম পাপুল মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশি সংসদ সদস্য (লক্ষ্মীপুর-২) শহীদুল ইসলাম পাপুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। একইসঙ্গে তিনি কুয়েতের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন। পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে তদন্তের সময়ে পাপুল এই বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আরব টাইমস। এদিকে পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিস মনে করে এই অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য মামলাটি ফৌজদারি আদালতে প্রেরণ করা উচিত।
কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার বিষয়ে পাপুল পাবলিক প্রসিকিউটরকে জানান, তার কোম্পানিতে ৯,০০০ মানুষ কাজ করে এবং কুয়েতে কাজ করার জন্য একটি বৈধ আদেশ আছে। তার দাবি, তিনি যে কাজ করেছেন সেটির সফলতা নিয়ে কেউ কোনও অভিযোগ করতে পারবে না। কিন্তু কুয়েতের কিছু কর্মকর্তা তার কাজ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের ঠেকানোর জন্যই তিনি ঘুষ দিয়েছেন।
পাপুল আরও বলেন, তার কোম্পানিতে যে ধরনের ইকুইপমেন্ট আছে সেটি আর কোনও কোম্পানির কাছে নেই এবং তিনি গুণগতমান সম্পন্ন সেবা প্রদান করেছেন, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখানকার কিছু কর্মকর্তা। এদিকে প্রসিকিউটর অফিসের একটি সূত্র জানায়, এর সঙ্গে অনেক ব্যক্তি জড়িত। এদের সবার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন।
গত ৭ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে সংসদ সদস্য পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কীভাবে বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারাও সহায়তা করেছেন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে। এখন পর্যন্ত তদন্তে বের হয়ে এসেছে পাপুল প্রতি বছর বিভিন্ন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাদ প্রায় ৬০ কোটি টাকা নেট লাভ করতেন। এছাড়া পাপুল এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ফ্রিজ করার জন্য ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটর। বিদেশের মাটিতে একজন সংসদ সদস্য আটকের ঘটনা দেশের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

/এসএসজেড/এমআর/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ডুবন্ত শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আরেক শিশুরও
ডুবন্ত শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আরেক শিশুরও
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ