ফেসবুকে ‘মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন বোর্ড’ নামের ভুয়া পেজে মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানায়, এখনও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিবেশ হয়নি। আর কবে হবে তাও জানি না। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে তখন দুই সপ্তাহের সময় দিয়ে পরীক্ষার সময় সূচি ঘোষণা করা হবে। ভুয়া কোনও পেজের বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভুয়া ওই পেজে লেখা আছে, ‘এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত- স্বাস্থ্যবিধি মেনে অক্টোবরের ১৫ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। রুটিন প্রকাশিত হবে ১ অক্টোবর–শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তখন দুই সপ্তাহের সময় দিয়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং তা গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ রয়েছে। এছাড়া অন্য কোনও পেজের তথ্য বিশ্বাস করে কেউ যেন বিভ্রান্ত হবেন না। প্রয়োজনে ভেরিফাইড পেজ দেখে নিন। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কোনও তথ্য যাচাই না করে বিশ্বাস করার সুযোগ নেই।
শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্য়ন্ত এইচএসসি পরীক্ষা হবে না। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কবে নাগাদ অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে আমরা জানি না। এখন পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষার পরিস্থিতি হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর মার্চে আগে সাধারণত ক্লাস শুরু হয় না। আমরা ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে যারা এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবে তাদের একদিনও সময় নষ্ট হবে না। আমরা পরীক্ষা হওয়ার দুই মাসের মধ্যে রেজাল্ট দেই। তাহলে রেজাল্ট জানুয়ারির মাসের শেষের মধ্যেও যদি দেই। ফেব্রুয়ারিতে ভর্তির ব্যবস্থা করা সম্ভব। যদি জানুয়ারির শেষে রেজাল্ট দিতে হয়, তাহলে নভেম্বরে যদি পরীক্ষা শেষ হয় তাহলেও চলতে পারে। তারপর সবকিছু যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে নভেম্বরে শেষ করতে হবে।’
এই পরিস্থিতিতে কোন গুজবে কান না দিয়ে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে আহ্বান জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।