X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

দৃক কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা ভাবছে পুলিশ

তানভীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ
০৩ এপ্রিল ২০১৬, ১৬:১৪আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০১৬, ১৬:৩০


ইরফানুল ইসলাম ধানমণ্ডির দৃক গ্যালারির কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলাম (৪২) খুনের ঘটনায় ছিনতাইকারীদেরই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ। বলা হচ্ছে, টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
তবে পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ইরফানুল ইসলামের সঙ্গে এমন কারও বিরোধ বা শত্রুতা ছিল না যে তাকে খুন করবে।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে ফিরোজ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন বিলের পাশের কাঁচা রাস্তা থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ১০০ শয্যার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পরে রবিবার সকালে খবর পেয়ে দুপুরে নিহতের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে ইরফানুল ইসলামের লাশ শনাক্ত করেন।
লাশ উদ্ধারকারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) আবিদ হোসেন বাংলাট্রিবিউনকে জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় যখন লাশ উদ্ধার করা হয়, তখন তার পকেটে কোনও ধরনের কাগজপত্র, মোবাইল এমনিক পরিচয় শনাক্ত করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। পরে লাশটি অজ্ঞাত হিসেবে মর্গে পাঠানো হয়। ওই সময়ে তার শরীরে ছিল হলুদ পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা। লাশের সুরতহালের সময়ে নিহতের শরীরে তেমন কোনও আঘাতের দাগ পাওয়া যায়নি। তবে গলায় ও গালে ফোলা জখম ছিল। সে হিসেবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হয়তো শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, হয়তো ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন।

ইরফানুলের বড় ভাই ইমদাদুল ইসলাম বাংলাট্রিবিউনকে জানান, প্রায় ১৮-২০ বছর ধরে ইরফানুল ইসলাম দৃক গ্যালারিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে কাজ করছিলেন। তিনি একই সঙ্গে হিসাব বিভাগও তদারকি করতেন।

ইরফানুলের বাবার নাম মৃত মাহাবুবুল ইসলাম। তাদের বাড়ি চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায়। স্ত্রী জোহরা বেগম ও একমাত্র ছেলে ইফতেখারুল ইসলাম উম্মাকে নিয়ে হাজারীবাগে ভাড়া বাসায় বাস করতেন। উম্মাম এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

ইমদাদুল ইসলাম আরও জানান, তার ভাই ইরফানুলের কোনও শত্রু বা বিরোধ ছিল না। তিনি একেবারে সাদাসিধে মানুষ ছিলেন। তাই আমরা কাউকে সন্দেহ করছি না।

ধানমণ্ডির দৃক গ্যালারির জেনারেল ম্যানেজার এস এম রেজাউর রহমান বাংলাট্রিবিউনকে জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অফিসের একটি প্রাইভেট কারে করে তিনি ধানমণ্ডির ৮ নম্বর সড়কে ডাচ বাংলা ব্যাংকে যান। সেখান থেকে ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা তোলেন। ব্যাংকে যে প্রাইভেট কারে করে গিয়েছিলেন, তা ব্যাংক থেকে একটু দূরে ছিল। অনেক সময় ধরে তিনি না আসায় গাড়িচালক নাসির মিয়া ব্যাংকের ভেতরে গিয়ে না পেয়ে ও খোঁজাখুজি করে না পেয়ে অফিসে জানান। পরে এ ব্যাপারে কলাবাগান থানায় জিডি করা হয়।

লাশের ময়না তদন্ত করা ১০০ শয্যার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, নিহতের মাথায়, বুকে, গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সরাফতউল্লাহ জানান, পুরো ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

/এজে/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পোশাকশ্রমিককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পোশাকশ্রমিককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!