X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী: বিদ্যমান আইনেই তনু হত্যার বিচার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৪ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:০৮আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:০৮

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে বিদ্যমান আইনেই তনু হত্যার বিচার সম্ভব এবং এ আইনেই বিচার হবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে তনু হত্যার বিচার ও আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য এবং দুই মন্ত্রীকে জরিমানা করার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, তনু হত্যার বিচার নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি (প্রধান বিচারপতি) কীভাবে এ মন্তব্য করলেন তা জানি না। তবে আমাদের প্রচলিত আইনেই এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার করা সম্ভব এবং আমরা সেটাই করবো।’
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি আইন দিয়ে তনু হত্যার বিচার করা যাবে না। পুরনো মানসিকতায় তদন্ত করে এর সুষ্ঠু বিচার সম্ভব নয়। আমাদের দেশের বেশিরভাগ আইন অচল হয়ে গেছে। এসব আইনের ব্যবহারিক কার্যকারিতা অনেক কম। এ সময় তনু হত্যার ঘটনাকে একটি আধুনিক অপরাধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কয়েকদিন আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ একাধিক মন্ত্রী এসব ইস্যুতে কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমাদের দেশের প্রচলিত আইনেই তনু হত্যার বিচার করার সুযোগ রয়েছে। প্যানেল কোর্টে না হলেও নারী নির্যাতনের আলাদা আইন রয়েছে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। আমরা এসব আইনে এ হত্যার বিচার করতে পারবো।

এ প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আইনের দিক দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছি। তাদের আগেই আমরা দ্রুত বিচার আইন প্রণয়ন করেছি। এখানেই আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছি।

তনু হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনের প্রক্রিয়াটি কেবল সংসদেই শেষ হয় না। কোনও আইন প্রণয়নের আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় খসড়া তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরে মন্ত্রণালয় সেটার ওপর ভেটিং দিয়ে কেবিনেটে পাঠালে সেটা অনুমোদন করা হয়। তারপর সংসদে ও স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এভাবেই একাধিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি আইন পাস হয়।

দুই মন্ত্রীর জরিমানার প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য বলেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এই শাস্তির পেছনে অন্য কোনও মোটিভ থাকতে পারে। বিচার বিভাগ তাদের আধিপত্য ও নিজেদের ক্ষমতার প্রমাণ দিতে এ ধরনের রায় দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।

/ইএইচএস/এসএনএইচ/এজে/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা সিইসির
উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা সিইসির
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার
বিতর্কের মুখে গাজায় ইসরায়েলি কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছেন মালালা
বিতর্কের মুখে গাজায় ইসরায়েলি কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছেন মালালা
‘পাতানো ম্যাচ’ নয়, মাঠে খেলেই এগিয়ে যেতে চায় স্বাধীনতা
‘পাতানো ম্যাচ’ নয়, মাঠে খেলেই এগিয়ে যেতে চায় স্বাধীনতা
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না