X
সোমবার, ২০ মে ২০২৪
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হাতির ওপর নির্যাতন বন্ধে জয়া আহসান ও পিএডব্লিউ’র রিট

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২২আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৪

বন্দি হাতির সার্কাস, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়েবাড়িতে শোভাবর্ধন, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র‌্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বা বিনোদন কাজে হাতি ব্যবহার করা এবং এই ব্যবহারের জন্য হাতিকে বাধ্য করতে নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (পিএডব্লিউ) এই রিট দায়ের করে। আবেদনকারীদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন পিপল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল। রিটকারীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব জনস্বার্থে এই রিটটি আদালতে শুনানির জন্য দাখিল করেন।

রিটকারীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ক্যাপ্টিভ হাতিকে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধে, তাদের দিয়ে বিনোদন কাজে ব্যবহার এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংগঠনটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এর মাঝে দুবার বনভবন ঘেরাও করে প্রাণী অধিকারকর্মীরা। এ সময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে তাদের কোনও ফলপ্রসূ ভূমিকা লক্ষ করা যায়নি। নির্যাতিত হাতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও কোন উপযুক্ত জবাব আসেনি বিভাগটির পক্ষ থেকে।

তারা আরও জানান, নির্যাতনের শিকার বাধ্য হাতিরা প্রায়শই নিজের ভিতরের ক্ষোভ ও যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ফলশ্রুতিতে লোকালয়ে তাণ্ডব ঘটিয়ে বিভিন্ন সময় অনেকেরই প্রাণহানি ঘটিয়েছে। কিছু অসৎ ব্যক্তির অনৈতিক ব্যবসা ও বেআইনি চাঁদা বাণিজ্যকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে জনগণের জানমালের এই ক্ষতি গ্রহণযোগ্য নয়।

তারা বলেন, আইইউসিএন’র লাল তালিকাভুক্ত প্রাণী হিসেবে এশিয়ান হাতি বর্তমানে মহাবিপদাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই হাতিকে বনবিভাগ কর্তৃক ব্যক্তিমালিকানায় সার্কাসের কাজে ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে প্রশ্নবিদ্ধ। এই সার্কাস ও চাঁদাবাজিতে বাধ্য করতে শৈশব থেকেই মা হাতির কাছ থেকে শাবককে ছাড়িয়ে নিয়ে নির্মম অত্যাচারের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়। হাতির মাহুত চাঁদাবাজির সময় একটি ধাতব হুক হাতে নিয়ে বসে থাকে। যা দিয়ে সে হাতির শরীরের বিভিন্ন দুর্বল স্থানে আঘাত করে চাঁদাবাজিসহ মানুষের ওপর চড়াও হতে বাধ্য করে। এই প্রক্রিয়াটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এবং প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ পরিপন্থি।

/বিআই/এফএস/এমওএফ/    
সম্পর্কিত
ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
নকল ডায়াবেটিস টেস্টিং স্ট্রিপ ৭ দিনের মধ্যে ধ্বংসের নির্দেশ
সালথা উপজেলায় ওয়াদুদের প্রার্থিতা বহাল, নির্বাচনে বাধা নেই
সর্বশেষ খবর
আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে দ্বিধায় ব্যাটারিরিকশা চালকদের সংগঠন
আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে দ্বিধায় ব্যাটারিরিকশা চালকদের সংগঠন
ইজিবাইকচালক হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
ইজিবাইকচালক হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
ভারত থেকে সাজা শেষে দেশে ফিরলেন ৮ নারী
ভারত থেকে সাজা শেষে দেশে ফিরলেন ৮ নারী
টিআইবির ‘হলফনামা বিশ্লেষণ’ নিয়ে প্রশ্ন আ.লীগ নেতাদের
উপজেলা নির্বাচনটিআইবির ‘হলফনামা বিশ্লেষণ’ নিয়ে প্রশ্ন আ.লীগ নেতাদের
সর্বাধিক পঠিত
রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান ‘শনাক্ত’, সুসংবাদের প্রত্যাশা
রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান ‘শনাক্ত’, সুসংবাদের প্রত্যাশা
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত
রাইসির বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ভিডিও প্রকাশ
রাইসির বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ভিডিও প্রকাশ
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, জানালেন ওবায়দুল কাদেরঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে
ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহতের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া
ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহতের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া