জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেট ও সিন্ডিকেটে প্রতিনিধি নির্বাচনে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের’ প্যানেল সবগুলো পদে জয়ী হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর সোয়া একটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল তিনটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
রাত সাড়ে আটটায় ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান।
নির্বাচনে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ (১৬৩ ভোট) ও তেজগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. হারুন অর রশিদ (১৫৫ ভোট)।
একাডেমি কাউন্সিল থেকে সিনেট সদস্য ক্যাটাগরিতে বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক চিন্ময় বাড়ৈ (১৩২ ভোট), রশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম (১৬১ ভোট), সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার (১৫৮ ভোট), আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহ (১৪৮ ভোট) ও শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বাহেজ উদ্দিন (১৫১ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন ।
নির্বাচনে ৭টি পদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ও ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে দুইটি প্যানেল থেকে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এছাড়াও নিরপেক্ষ ভাবে সিনেট সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মতিউর রহমান। এদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ উপাচার্যপন্থি ও শিক্ষক ঐক্য পরিষদ উপাচার্যবিরোধী হিসেবে পরিচিত।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান জানান, সকাল দশটা থেকে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এর মাঝে আমরা এই নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। নির্বাচনে ৩৪৬টি ভোটের মধ্যে ২৮৬টি ভোট পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের ১৯(১) (জি) ধারা অনুযায়ী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষদের মধ্য থেকে ৫ জন সিনেট সদস্য ও ২২(১) (ডি) ধারা অনুযায়ী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষদের মধ্য থেকে ২ সিন্ডিকেট নির্বাচিত হবেন।
সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এটি অত্যন্ত খুশির সংবাদ এবং একই সঙ্গে অনেক বড় একটি দায়িত্ব। আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ও দেশের সার্বিক কল্যাণে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবো। সেইজন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশী।