মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। অনেক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আমরা গ্রেফতার করেছি। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদতদাতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত পরিচয়পর্ব ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বুধবার (২৪ এপ্রিল) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং চক্রকে আমরা সমূরে উৎখাত করবো ইনশাআল্লাহ। এ জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
তাদের গ্রেফতারে এলিট ফোর্স র্যাব কী ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে, জানতে চাইলে আরাফাত ইসলাম বলেন, র্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। দেশের যেকোনও জায়গায় যেকোনও প্রান্তে যেকোনও ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করে। অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে র্যাব এ ঘটনায় কাজ করছে। অচিরেই এ ঘটনায জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট বারবার পেছানো হচ্ছে। বিষয়টি বিচারিক প্রক্রিয়াতেই যায়নি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি চাঞ্চল্যকর ও তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।
উপজেলা নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন ঘিরে অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়। এ ক্ষেত্রে র্যাব কী তৎপরতা চালাচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমগ্র দেশে চার পর্বে উপজেলা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য র্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। পোশাকের পাশাপাশি সাদাপোশাকেও র্যাব সদস্যরা কাজ করছেন।
কোন বিষয়টি কাজ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন যে ঘটনাগুলো ঘটে, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি। আমার আগের যে কর্মকর্তারা কাজ করে গেছেন, ঊর্ধ্বতনরা যে লিগ্যাসি রেখে গেছেন, সেটাই আমি বহন করবো। র্যাবের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবো।
দেশে গত দুই বছর ক্রসফায়ার নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি খুব ভালো হয়ে গেলো যে র্যাবের সঙ্গে কোনও ক্রসফায়ার নেই। নাকি অন্য কোনও চাপে ক্রসফায়ার হচ্ছে না? জানতে চাইলে নতুন কমান্ডার বলেন, বিষয়টি নিয়ে এইপর্যায়ে কথা বলার কিছু নেই। র্যাব কেন, আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। ক্রসফায়ার শব্দটি আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমরা সব সময় চাই বিচারবহির্ভূত কোনও হত্যাকাণ্ড না ঘটুক। যদিও বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে ভিন্ন খাতে আলোচনা হয়।
কুকি-চিনের তৎপরতা নির্মূলে র্যাব ও যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী কাজ করছে। র্যাব যৌথ বাহিনীর অংশ। এটা নিয়ে কিছু বিষয় গোপনীয়তা রয়েছে অভিযানের স্বার্থে। এতটুকু বলতে পারি, র্যাব এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।
