রাজধানীর গুলিস্তানে কমিউনিটি পুলিশের এক সদস্য এবং এক মসজিদে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকালে তারা মারা যান। তীব্র গরমের কারণে তারা ‘হিট স্ট্রোকে’ আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড ইমাদ কাউন্টারের সামনে মারা যান বজলুর রহমান (৫০)। তিনি ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিউনিটি পুলিশ সদস্য হিসেবে কাজ করতেন।
তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী কমিউনিটি পুলিশ রুহুল আমিন বলেন, বিকালে বজলুর রহমান ডিউটি করছিলেন। এইসময় প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডিএমপির বংশাল থানার উপপরিদর্শক এসআই মো. শাহ জালাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বজলুর রহমান সদরঘাট এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।
এদিকে, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পীর ইয়ামিন মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মিজানুর রহমান (৬০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তিনি কুমিল্লা বরুরা উপজেলার আনাইসকোটা গ্রামের মৃত আব্দুল গনি মুন্সির ছেলে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার বন্ধু ইউসুফ বলেন, আছরের নামাজের আগে সে বলছিল হঠাৎ খারাপ লাগছে। নামাজ পড়ে নেই– এই বলে জামাতে নামাজের দাঁড়ায় সে। নামাজরত অবস্থায় সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে সেখান থেক উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয় এলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
মৃতের বোন জামাই আব্দুল মালেক জানান, মিজানুর রহমান আগে সিলেটে পাথরের ব্যবসা করতেন। তবে বর্তমানে তেমন কিছু করতেন না। থাকতেন পুরানা পল্টনে। তার পরিবার থাকেন গ্রামের বাড়ি। তিনি দুই ছেলে দুই মেয়ের জনক ছিলেন।
তাদের ধারণা হয়তো গরমে স্ট্রোক করে মারা গেছেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে কিছু বলেননি।