X
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বাড্ডায় মনজিল হত্যা: সৎমা-ভাইসহ ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১১আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে ও লেভেল পড়ুয়া একেএম মনজিল হক হত্যা মামলায় সৎমা লায়লা ইয়াসমিন লিপি ও ভাই একেএম ইয়াসিন হকসহ ছয় জনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান। তিনি যুক্তিতর্কে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন। এরপর আসামিদের পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন তাদের আইনজীবীরা। তবে এদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ৭ মে ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

এ নিয়ে মামলাটিতে ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। 

মামলার অপর আসামিরা হলেন, সৎমামা আবু ইউসুফ নয়ন, মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া, রবিউল ইসলাম সিয়াম ও সিমান্ত হোসেন তাকবীর। আরেক আসামি মাহফুজুল ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আসামিদের মধ্যে ইয়াসিন ও সিয়াম কারাগারে আছে। আর সিমান্ত হোসেন তাকবীর জামিনে। অপর তিন আসামি শুরু থেকে পলাতক।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন ও লেভেল পড়ুয়া মনজিল হক (২৮)। হত্যাকাণ্ডের পর চাচা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।

একেএম মনজিল হক

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসে সম্পত্তির লোভে মনজিলকে সৎমা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎমামা আবু ইউসুফ নয়ন ও সৎভাই একেএম ইয়াসিন হক (২৫) ও মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া (৫৮) হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শামসুদ্দিন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী ফারুক ও নিহত মনজিলের বাবা আপন বড় ভাই। তারা একই সঙ্গে গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। শান্তিনগর বাজারের পেছনে মনার ছেলে মনজিল এবং ইয়াসিন ও ফারুকের ছেলে নিজেদের যৌথ নামে একটি ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু মনা ওই ফ্ল্যাটটি তার ছেলেদের দিয়ে দলিল করিয়ে বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে নিহতের বাবার সঙ্গে ফারুকের দ্বন্দ্ব ছিল। নিহতের বাবার মারা যাওয়ার পর সেই ক্ষোভ মনজিলের ওপর ছিল। ওই ক্ষোভ থেকেই মনজিলকে হত্যার পরিকল্পনায় ভাতিজা ইয়াসিনের সঙ্গে চাচা ফারুক যোগ দেয়।

/এআই/ইউএস/
সম্পর্কিত
টাকা আত্মসাৎ: গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তার দুই বছর কারাদণ্ড
ইজিবাইকচালক হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
বিদেশে অর্থপাচার রোধে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই: সিআইডি
সর্বশেষ খবর
তাইওয়ানকে হুমকি দেওয়া বন্ধ করুন: উইলিয়াম লাই
তাইওয়ানকে হুমকি দেওয়া বন্ধ করুন: উইলিয়াম লাই
২০ ঘণ্টা পর মুক্ত সৈয়দপুরের সেই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী
২০ ঘণ্টা পর মুক্ত সৈয়দপুরের সেই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে চলেছে রকমারি ডট কম
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে চলেছে রকমারি ডট কম
বিছানায় পড়ে ছিল স্ত্রীর লাশ, ঘরের আড়ায় ঝুলছিলেন স্বামী
বিছানায় পড়ে ছিল স্ত্রীর লাশ, ঘরের আড়ায় ঝুলছিলেন স্বামী
সর্বাধিক পঠিত
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত
রাইসির বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ভিডিও প্রকাশ
রাইসির বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ভিডিও প্রকাশ
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, জানালেন ওবায়দুল কাদেরঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে
ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহতের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া
ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহতের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া
ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিহত হলেন যারা
ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিহত হলেন যারা