পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের ২০ মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরামের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে কমিশনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের (এইচআরএফবি) প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে যান। এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলে নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, মানবাধিকারকর্মী তামান্না হক রীতি ও কাপেং ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে তাদের বক্তব্য এবং কমিশনের সহায়তায় বিভিন্ন ধরণের কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিনিধিদলের উপস্থাপন করা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ, ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) ও বাংলাদেশের অবস্থান, মানবাধিকার সুরক্ষার বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান প্রেক্ষাপট উঠে আসে। বান্দরবানের লামা উপজেলায় ম্রো জাতিগোষ্ঠীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় কমিশনের আন্তরিক ভূমিকা এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার খাসিয়াপুঞ্জিতে খাসিয়া জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার সুরক্ষায় কমিশনের ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান এইচআরএফবির প্রতিনিধিদল। এ প্রেক্ষাপটে, কমিশনের ভূমিকায় যে সংশ্লিষ্ট সমস্যার অগ্রগতি হয়েছে তা মানবাধিকার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে বলে প্রতিনিধিদল মন্তব্য করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মানবাধিকার সুরক্ষিত ও সমুন্নত রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।
আলোচনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফের সন্ত্রাসী কাজের নিন্দা প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ। প্রতিনিধিদলের উপস্থাপিত দাবীর প্রেক্ষাপটে কমিশনের চেয়ারম্যান পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ, সহিংসতামুক্ত ও ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।