অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে কি না, জানা যাবে আজ বৃহস্পতিবার (২ মে)।
আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতে হাজিরা দেবেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ মামলাটির অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। যদি মামলাটির অভিযোগ গঠন হয়ে যায়, তাহলে আসামিদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হবে। তবে আমরা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করবো। আশা করি ড. ইউনূস এই মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন।
এরআগে গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেন। তিনি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।
গত ৩ মার্চ একই আদালতে ড. ইউনূস আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দফতর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
জানা যায়, দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং আইনে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৩০ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।