X
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

‘সম্পত্তির লোভে’ মনজিলকে হত্যা: ৭ বছরেও শেষ হয়নি বিচার

আরিফুল ইসলাম
০২ মে ২০২৪, ১৭:০৫আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ১৭:০৫

সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন এ কে এম মনজিল হক (২৮)। হত্যাকাণ্ডের পর তার চাচা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসে ভিন্ন তথ্য। সম্পত্তির লোভে মনজিলকে হত্যায় তার সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন ও সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হক ও মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া জড়িত ছিলেন বলে জানায় সিআইডি।

হত্যাকাণ্ডের পর ৭ বছর পার হলেও এখনও শেষ হয়নি মামলার বিচারকাজ। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, মামলাটি প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। আশা করছি, এই মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার তারিখ দেবেন বিচারক।

বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানি পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল এ মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক শুরু করেন। তবে ওইদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ৭ মে পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

কবে নাগাদ মামলার বিচার শেষ হবে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আসামিরা অন্তত দুর্ধর্ষ হওয়ায় তাদের ভাড়াটিয়া খুনিদের দিয়ে সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখাতো। সেই ভয়ে অনেক সাক্ষী ঠিকমত আদালতে আসতো না। এজন্য সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করতে কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। মামলাটিতে ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। প্রত্যেকটি সাক্ষীর সাক্ষ্য আসামিদের বিরুদ্ধে গেছে। রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে আসামিরা প্রকৃত অপরাধী। বর্তমানে মামলাটি যুক্তিতর্ক শুনানি পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, এই মাসের মধ্যে মনজিল হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ দিবেন আদালত। রায়ে সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন এই আইনজীবী।

এদিকে আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের আশা, সব আসামি এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাবেন।

মামলার নথী থেকে জানা যায়, ছোট বয়সে মাকে হারান মনজিল। এরপর বেড়ে ওঠেন সৎ মায়ের অনাদরে। ৩০ বছর বয়সে বাবাও মারা যান। ধন-সম্পদ নিয়ে শুরু হয় চাচা, সৎ মা, ভাই ও মামার সঙ্গে মনোমালিন্য। আলাদা হয়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। নিঃসঙ্গ জীবনে শারমিন আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এভাবেই কাটছিল মনজিলের জীবন। কিন্তু সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে চাচা, সৎ মা, ভাই, মামা উঠেপড়ে লাগে। ছোট ভাই ইয়াসিন ভাড়াটে খুনিদের নিয়ে কৌশলে মনজিলের বাসায় যায়। ভিকটিম মনজিলকে হত্যার করার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ইয়াসিন হক ও ভাড়াটে খুনি রবিউল ইসলাম সিয়াম, মাহফুজুল ইসলাম রাকিব, সীমান্ত হাসান তাকবীর। এছাড়া সাক্ষী হিসেবে নিহতের বান্ধবী শারমিন আক্তার নিশী ও যে বাড়িতে খুন হন সে বাড়ির তৎকালীন দারোয়ান মো. আবুল কালামও সাক্ষ্য দেন। তাতেই উঠে এসেছে কীভাবে মনজিলকে হত্যা করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শামসুদ্দিন। মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন– মনজিলের সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন, সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হক, মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া, রবিউল ইসলাম সিয়াম ও সিমান্ত হোসেন তাকবীর। মাহফুজুল ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আসামিদের মধ্যে  ইয়াসিন ও সিয়াম কারাগারে। সিমান্ত হোসেন তাকবীর জামিনে। অপর তিন আসামি শুরু থেকে পলাতক রয়েছে।

অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৯২ সালে মনজিল হকের মা ঢাকার শান্তিনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় কাপড়ে আগুন লেগে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মারা যান। তখন মনজিলের বয়স ছিল ৩/৪ বছর। মনজিলের মায়ের মৃত্যুর পর বাবা এ কে এম মঈনুল হক ওরফে মনা খালাতো শ্যালিকা লায়লা ইয়াসমিন লিপিকে বিয়ে করেন। তার এ সংসারে একেএম ইয়াসিন হক ও তিন মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। ২০১৭ সালের ২০ মে মঈনুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার আগে বনশ্রী এলাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনেন। সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আফতাব নগরে ৪৭ লাখ টাকা দিয়ে আরও একটি ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। যার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন এবং ২২ লাখ টাকা কিস্তিতে পরিশোধের জন্য ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে একটি ডিড সম্পাদনা করেন। বাবা মারা যাওয়ার পর সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি ও ও সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হকের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুই মাস পর মনজিল আফতাব নগরের ফ্ল্যাটে ওঠেন। বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা শারমিন আক্তার নিশার সঙ্গে মনজিলের প্রেমের সম্পর্ক হয়।

আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার এক মাস আগে ইয়াসিন তার ছোট মামা আবু ইউসুফ নয়নের সঙ্গে মনজিলকে খুন করার বিষয়ে পরামর্শ করে। আবু ইউসুফ এতে সম্মতি দেন এবং তাকে ২০ হাজার টাকাও দেন। ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকৃত নগদ ৩৭ লাখ টাকা ছাড়াও মনজিলের বাবা গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা এলাকায়ও সম্পত্তি রেখে যান। বাবার মৃত্যুর পর ফ্ল্যাট দুটিসহ অন্যান্য সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ভাই ইয়াসিনের সঙ্গে মনজিলের মনোমালিন্য শুরু হয়। ইয়াসিন সব সম্পত্তি ভোগ দখল করতে পেশাদার ভাড়াটে খুনিদের সহযোগিতা নেয়।এতে তার মা লায়লা ইয়াসমিন ও মামা আবু ইউসুফের প্রত্যক্ষ প্ররোচনা দেয়। মামলার বাদী ফারুক মিয়ার সহযোগিতায় মনজিলের ফ্ল্যাটে তাকে খুন করা হয়।

খুন করার আগে ইয়াসিন তার বন্ধু রবিউল ইসলাম সিয়াম ও মামা আবু ইউসুফের সঙ্গে পরামর্শ করে হত্যার পরিকল্পনা করে। ইয়াসিনের বাসায় বসে মনজিলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সেখানে ইয়াসিনের মা, মামা ও চাচা উপস্থিত ছিল। এদিকে মনজিলকে হত্যা করলে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর সকালে তারা মনজিলের আফতাবনগরের ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করে। ইয়াসিন তাদের বসিয়ে রেখে মনজিলের বাসার সামনে যায় এবং কাজের বুয়া চলে গেছে কিনা খোঁজ নেয়। সে মনজিলের ঘরের সামনে গিয়ে এক জোড়া স্যান্ডেল দেখতে পায়। ইয়াসিন বুঝতে পারে কাজের বুয়া আছে।

সকাল ১১টার দিকে তারা বাসায় ঢুকতে গেলে দারোয়ান ইয়াসিনকে বাধা দেয়। তখন ইয়াসিন বলে, সে মনজিলের ভাই। সিয়ামের ফোন নিয়ে তার কানে দিয়ে কথার বলার ভান করলে দারোয়ান তাদের ওপরে যেতে বলে। ষষ্ঠ তলায় মনজিলের ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে ইয়াসিন কলিং বেল টিপলে ভেতর থেকে জিজ্ঞেস করে কে? তখন ইয়াসিন জবাব দিলে মনজিল দরজা খুলে দিলে তারা ভেতরে প্রবেশ করে। ইয়াসিন মনজিলকে উদ্দেশ করে বলে, এরা তার বন্ধু। তাদের একটি মোটরসাইকেল পুলিশ আটকিয়েছে। মনজিল থানায় ফোন দিলেই মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেবে। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই ইয়াসিন মনজিলকে জাপটে ধরে। সবাইকে বলে তাকে জাপটে ধরার জন্য।

তখন সিয়াম তার গলায় থাকা মাফলার দিয়ে মনজিলের মুখ বেঁধে পেছন দিক থেকে রাকিবকে মাফলারসহ মুখ চেপে ধরতে বলে। তখন রাকিব মাফলার দিয়ে মনজিলের মুখ চেপে ধরে। তাকবীর পা ধরে। সিয়াম ব্যাগ থেকে রশি বের করে মনজিলের পা বাঁধতে যায়। মনজিল লাথি মারলে সিয়াম পড়ে যায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকবীর ও রাকিব মনজিলকে ধরা অবস্থায় তাকবীরকে কামড় দেয় মনজিল। তাকবীর তখন সিয়ামকে বলে, ‘সিয়াম ভাই অ্যাকশনে যাও।’

সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর শামসুদ্দিন বলেন, সিয়াম তখন তাকবীরের পকেটে থাকা চাকু দিয়ে মনজিলের পেটে এবং পরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। অন্যদিকে বাইরে থেকে শারমিন মনজিলের ফ্ল্যাটের মেইন দরজায় কলিং বেল টিপতে থাকে এবং ফোন নম্বরে অনবরত ফোন দিতে থাকে। তখন ইয়াসিন সিয়াম ও তাকবীরকে দিয়ে শারমিনের করা মনজিলের ফোন রিসিভ করে কথা বলতে বলে। তারা কয়েকবার ফোন রিসিভ করে বলে, ভাই অসুস্থ। আপনি এক ঘণ্টা পরে আসেন। শারমিন সেখান থেকে না গিয়ে আশে পাশের সিঁড়িতে ঘোরাঘুরি করে। সিয়াম তার গায়ে থাকা গেঞ্জিতে রক্ত লাগায় সেটি খুলে ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে এবং মনজিলের আয়রন করা একটি পরিষ্কার গেঞ্জি পড়ে। তাকবীর এবং রাকিবও কাপড় চেঞ্জ করে মনজিলের কাপড় পড়ে নেয়। ইয়াসিনের পরনে থাকা কাপড়ে রক্ত লাগলেও সেগুলো পরিবর্তন না করে ওয়াশরুমে গিয়ে ধুয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সিঁড়ি বেয়ে নামে। নামার সময় শারমিন ও দারোয়ান আবুল কালাম তাদের দেখে এবং ইয়াসিনকে তারা চিনতে পারে।

মনজিলের বাসা থেকে বের হয়ে তাকবীর ও রাকিবকে তাদের মতো করে চলে যেতে বলে ইয়াসিন। রাকিবের হাতে ৩০০ টাকা দেয় সে। সিয়ামকে বাইকে করে কোনাপাড়ায় নামানোর জন্য তার বাসা রওনা হয়। এসময় সিয়াম টাকা চাইলে ইয়াসিন বলে, টাকা নিয়ে টেনশন করিস না। পরে তাকে কোনাপাড়ায় নামিয়ে দেয় ইয়াসিন।

মামলার বাদী ফারুক ও নিহত মনজিলের বাবা আপন ভাই। তারা একই সঙ্গে গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। শান্তিনগর বাজারের পেছনে মনা ও ফারুকের যৌথ নামে একটি ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু মনা ওই ফ্ল্যাটটি তার ছেলেদের দিয়ে দলিল করিয়ে বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে নিহতের বাবার সঙ্গে ফারুকের দ্বন্দ্ব ছিল। পরে সেই ক্ষোভ চলে আসে মনজিলের ওপর। এ থেকেই মনজিলকে হত্যার পরিকল্পনায় ভাতিজা ইয়াসিনের সঙ্গে চাচা ফারুক যোগ দেয় বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।

/এফএস/
সম্পর্কিত
ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
৩০০ ফুট সড়কে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ‘ওভার স্পিড’ মামলা
রংপুরে পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাত জন গ্রেফতার
সর্বশেষ খবর
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫
উত্তর আমেরিকা চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটির অভিষেক
উত্তর আমেরিকা চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটির অভিষেক
লোপেজের জোড়ায় লিগে রানার্সআপ হওয়ার পথে বার্সা
লোপেজের জোড়ায় লিগে রানার্সআপ হওয়ার পথে বার্সা
বাজারে অপরিপক্ব লিচু, খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি
বাজারে অপরিপক্ব লিচু, খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি
সর্বাধিক পঠিত
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
ফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা