ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কর্মরত সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (৭ মে) দয়াগঞ্জ ও ধলপুরের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আগে বাসা বরাদ্দ নিয়ে ডিএসসিসির অপবাদ ছিল। এটা ছিল দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত। আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির সেসব চক্র ভেঙে দিয়েছি। এ জন্য বাসা বরাদ্দে এখন আর কেউ অনিয়ম-দুর্নীতির সাহস দেখায় না। যারা যোগ্য, যাদের প্রাপ্যতার ন্যায্যতা রয়েছে, আমরা তাদের বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে ডিএসসিসি স্বচ্ছতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে অনেককেই বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কর্মচারীর জন্য আবাসন নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘যতদিন দায়িত্বে থাকবো, দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমাদের আবাসনগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশই এক সময় অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব দখলদারদের আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা চলমান থাকবে। যতদিন আমি আছি, ততদিন এই করপোরেশনের আবাসনগুলোতে কোনও অবৈধ দখলদার থাকতে দেবো না।’
অনুষ্ঠানে দয়াগঞ্জের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস ‘নীলপদ্ম’তে ৬৪ জন এবং ধলপুরের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস ‘শাপলা’, ‘শালুক’ ও ‘পলাশ’ এ ২৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দয়াগঞ্জের নীলপদ্ম পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসে ৩৪৩টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত হলেও বাসা বরাদ্দ পাওয়ার সব মানদণ্ড পূরণ করেছেন ৬৪ জন। একইভাবে ধলপুরে ২৯০টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তরা মধ্যে আগে ২৬৯টি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়, বাকি ২১টি বাসা আজ যোগ্য প্রার্থীদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন– করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ ও ৪৯ নম্বর কাউন্সিলর বাদল সরদার প্রমুখ।