রাজধানীতর কদমতলী ধনিয়ার বাসায় নুসরাত জাহান তাফরিন (১০) নামে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থী খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা গেছে। এমনটাই দাবি তার পরিবারের।
স্থানীয় তালিমুল মিল্লাত নামে একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিল সে। বুধবার (৮ মে) রাত সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
শিশুটির বাবা সৌদি প্রবাসী ইউসুফ দফাদার বলেন, গতকাল সৌদি থেকে আসেছেন তিনি। আজ সন্ধ্যায় নুসরাত ও তার মা ইতি আক্তার মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। পরে নুসরাতকে বাসায় রেখে মার্কেটে জামা কাপড় কিনতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নুসরাতের দুই সেট জামা ও পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা শেষে রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসার ফিরে দেখেন রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।
ওই সময় বাসার কেয়ারটেকার বাহির থেকে দেখতে পায় নুসরাত জানালার গ্রীলের সাথে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় ঝুলে আছে। পরে দরজা ভেঙ্গে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রাত পৌনে দশটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির বাবা আরও বলেন, মেয়েটা সবসময় হাসিখুশি থাকতো, তাকে তো কিছু বলাও হয়নি। তবে কেন এমনটি হলো, কি করলো বুঝে উঠতে পারছিনা। তাদের ধারণা হয়তো খেলতে খেলতে বা খেলার ছলে গলায় ফাঁস লেগে গিয়েছিল।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।
বরিশাল কোতোয়ালি উপজেলার নলচর গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইউসুফ দফাদারের মেয়ে নুসরাত।
বর্তমানে ধনিয়া আনন্দ বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে থাকতো। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল বড়।