X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলা ট্রিবিউনকে আ.লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি

দেশকে জঙ্গিমুক্ত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করব

এমরান হোসাইন শেখ
০৮ মে ২০১৬, ২১:৩৩আপডেট : ০৮ মে ২০১৬, ২১:৫৮


হাজী আবুল হাসনাত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সম্মান রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নবনির্বাচিত সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত। ঢাকাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নে আপনারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করুন। নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে ভূমিকা রাখুন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে রুখে দিন। আমরা দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রাণ চেষ্টা করে যাব।  রবিবার বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে ডেকে নিয়ে সভাপতি করেছেন, বিষয়টি কি একটু খুলে বলবেন?

হাজী আবুল হাসনাত: আমরা শুনেছিলাম, আমাদের প্রয়াত নেতা এমএ আজিজ ভাইকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হচ্ছেন। কিন্তু কমিটি ঘোষণার আগেই তিনি মারা গেলেন। এরপর গত মার্চ মাসে (১১ মার্চ) নেত্রী আমাকে গণভবনে ডেকে পাঠালেন। কেন ডাকলেন জানতাম না। আমার সঙ্গে কয়েক মিনিটের আলাপ। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। আমি আপনাকে খবর দিয়ে এনেছি। কিন্তু আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন, সেই সাক্ষাতের দিনে সেটা বলেননি। আর আমিও এ রকম কিছু প্রত্যাশা করিনি। কোনওদিন নেত্রীকে বলিনি আমাকে পদ দিতে হবে। তবে তিনি ভালো মনে করেছেন বলেই ডেকে নিয়ে আমাকে এখানে বসিয়েছেন।

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট: নেত্রী তো ডেকে নিয়ে আপনাকে সম্মানিত করেছেন, এর পেছনে কী কারণ রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

হাজী আবুল হাসনাত: আমাকে কেন প্রধানমন্ত্রী এ পদে বসিয়েছেন এটা একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। তবে নিশ্চয় আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে বিবেচনায় নিয়েছেন। আমি লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম সভা সমাবেশে লালবাগ থানার নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি। দলকে চাঙ্গা করতে অগ্রগামী ভুমিকা পালন করি। আমার নেতৃত্বে লালবাগ থানা মিটিং মিছিলে ওয়ান-ইলেভেনের আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা রাখি।  নেত্রীর মুক্তির জন্য আমরা কাজ করি। এগুলো নিশ্চয়ই নেত্রী বিবেচনায় নিয়েছেন।

 আরও পড়তে পারেন: ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরেই ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট: নেত্রী আপনাকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন, আপনি দলকে আরও শক্তিশালী করতে কী কী পদক্ষেপ নেবেন?

হাজী আবুল হাসনাত:  এ ব্যাপারে আমার সব সময় প্রচেষ্টা থাকবে। নেত্রীর সম্মান রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব। নেত্রীর প্রতিটি নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করব। তার নির্দেশনা সূচারুভাবে প্রতিপালন করব। এজন্য সবার কাছে সহযোগিতা ও দোয়া চাই। যেন যত কষ্টই হোক নেত্রীর দেওয়া এই পদটির মর্যাদাটা রাখতে পারি। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে  দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করতে দলকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট: নগর আওয়ামী লীগ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

হাজী আবুল হাসনাত: সবার আগে আমার কাজ হবে, সংগঠনকে শক্তিশালী করা। কমিটি ঘোষণার পর নেত্রী আমাদের সবাইকে ডেকে যে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, এরই আলোকে আমরা ত্যাগীদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করব। নতুন-পুরনোদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে চাই। নেত্রীর নির্দেশমতো সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। তার পরিচালনায় দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকাবাসী হিসেবে এই অগ্রযাত্রায় আমরাও শরিক হতে চাই।

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট: পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে নাগাদ ঘোষণা হতে পারে?

হাজী আবুল হাসনাত: দিনক্ষণ ঠিক করে এটা বলতে পারব না। তবে, কমিটি গঠনে খুব একটা সময় নিতে চাই না। কমিটি গঠনে বিলম্ব হলে আমরা সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়ব। শিগগিরই এ বিষয়ে আমরা নেত্রীর সঙ্গে আরেকার দেখা করে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে দেব। ২০১৯ সালে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সব কিছু গুছিয়ে আমরা দলকে শক্তিশালী করতে চাই। এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। কর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দিপনা আছে। দল যেন আগামীতে আবারও নিরঙ্কুশভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে তার জন্য ঢাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে না পারেন, তার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখব।

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট: নগরবাসীর প্রতি আপনার কোনও আহ্বান আছে কি না?

হাজী আবুল হাসনাত: নগরবাসীর উদ্দেশে একটিই আবেদন, নেত্রীর ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে আপনারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করুন। নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত হতে ভূমিকা রাখুন।  সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে রুখে দিন।

উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল হাজী আবুল হাসনাতকে সভাপতি ও শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং একেএম রহমতউল্লাহকে সভাপতি ও সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর উত্তরের পৃথক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণাকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুটি কমিটিই ভালো হয়েছে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এই কমিটি নির্বাচন ও আন্দোলনে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একইদিনে ঢাকা মহানগরীর ৪৯টি থানা, ১০৩টি ওয়ার্ড ও ১৭টি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়।

নগর দক্ষিণের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে হাজী আবুল হাসনাত লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯২ সালে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তিনি টানা ২৪ বছর একই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
আলাপচারিতায় ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম ও মানস ঘোষমুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও সংবাদ সংগ্রহ
করারোপ নীতি শিক্ষা সম্প্রসারণকে বাধাগ্রস্ত করবে: সলিমুল্লাহ খান
বাংলা ট্রিবিউনকে ওয়াসিকা আয়শা খান‘নারীরা যে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়ে চলেছেন, এর নেপথ্যে শেখ হাসিনা’
সর্বশেষ খবর
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
প্রস্তুত বলী খেলার মঞ্চ, বসেছে মেলা
প্রস্তুত বলী খেলার মঞ্চ, বসেছে মেলা
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
দুই মাসে ব্র্যাক ব্যাংকে আড়াই হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন 
দুই মাসে ব্র্যাক ব্যাংকে আড়াই হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন 
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা