রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর রোডের হলি আর্টিজান বেকারিতে গোলাগুলির ঘটনায় রেস্টুরেন্টটির ভেতরে আটকা পড়েছেন অনেকে। একইভবনে ও কিচেন নামে আরও একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। উভয় রেস্টুরেন্টে জিম্মিদের মধ্যে আনুমানিক ২০ জনই বিদেশি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ও কিচেনের সুপারভাইজার সুমন রেজা। জিম্মিদের মধ্যে চার জাপানি নাগরিক রয়েছেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন এ ঘটনায় আহত মাইক্রোবাস চালক আব্দুর রাজ্জাক (৩০)। রাত পৌনে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, চার জাপানিকে নিয়ে ওই রেস্টুরেন্টে গিয়ে তিনি হামলার শিকার হন। তার ঘাড়ে ও পিঠে গুলি লাগে।
১০/১২টি বোমা বিস্ফোরিত হওয়ার পর দোতলার ছাদ থেকে লাফিয়ে বাইরে আসতে সক্ষম হন ও কিচেনের সুপারভাইজার সুমন রেজা। তিনি জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আট থেকে ১০ জন যুবক অতর্কিতে আর্টিজানে ঢুকে পড়ে। তাদের একজনের হাতে ছিল তলোয়ার, বাকিদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র। ঢুকেই তারা কয়েকটি ফাঁকা গুলি করে এবং আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করে। তখন ভেতরে ২০ জনের মতো বিদেশি নাগরিক ছিলেন।
সুমন রেজা জানান, ভেতরে থাকা তাদের কর্মীরা ফোন রিসিভ করছেন না।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেকারির সামনে আহত অবস্থায় পুলিশের পোশাকধারী কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পৌনে ১১টায় আবার গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় গুলশান এলাকার আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে উত্তরা থেকে বা সেখানে যাতায়াতকারী লোকজন রাস্তায় আটকা পড়েছেন। এছাড়া হামলায় ১০ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি’র কর্মকর্তারা।
/এমপি/এমএনএইচ/