X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
পুলিশ পারছে না

নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৯ পরামর্শ

নুরুজ্জামান লাবু
১৬ জুলাই ২০১৬, ২১:৫৯আপডেট : ১৭ জুলাই ২০১৬, ০৬:৫৭







ডিএমপি জনবল স্বল্পতার কারণে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে স্থায়ী ফোর্স মোতায়েন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাগুলোর নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত পুলিশ ৯টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এই পরামর্শ সংবলিত চিঠি রাজধানীর ৪৯ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জননিরাপত্তা নিশ্চিতসহ জনগণের মাঝে নিরাপত্তাবোধ বৃদ্ধি করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নিরাপত্তার জন্য ক্রমাগতভাবে স্থায়ী পুলিশ নিয়োগের জন্য চাহিদা দিচ্ছেন। কিন্তু ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা রক্ষায় পেট্রোলিং চেকপোস্ট, ব্লক রেইড, তল্লাশি অভিযান, দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ, বিভিন্ন দূতাবাস, ঢাকাস্থ আন্তর্জাতিক সংস্থার স্থানীয় কার্যালয়, দূতাবাস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যালয়ে লোকবল স্বল্পতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী স্থায়ীভাবে ফোর্স মোতায়েন করা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি লোক স্বল্পতার কারণে ডিপ্লোম্যাটদের আবাসিক এলাকার পাশাপাশি ঢাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের কমিউনিটির বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণ, ভিভিআইপি, ভিআইপি, বিচারপতিদের হাউজ গার্ড প্রদান ও ক্লোজ প্রটেকশন বৃদ্ধি কারণে চাহিদা অনুযায়ী স্থায়ীভাবে ফোর্স নিয়োজিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনাগুলোর ভেতর-বাইরের রাস্তায় উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা (রাত্রীকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন), প্রবেশ পথে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দেহ তল্লাশি ও আর্চওয়ে গেইট স্থাপন, চতুর্দিকের দেয়াল উঁচু করা এবং দেওয়ালের ওপর সুরক্ষিত গ্রিল বা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া, চর্তুদিকে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, যানবাহন তল্লাশির জন্য ভেহিক্যাল সার্চ মিররের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে লাগেজ স্ক্যানের ব্যবস্থা গ্রহণ, পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রাইভেট সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের অনুরোধ করা হয়।
আধুনিক বিশ্বে পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিক নানা ধরনেরর প্রযুক্তি ব্যবহার করে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, তারা নিজেদের নিরাপত্তা এবং প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। নিরাপত্তায় প্রযুক্তি ব্যবহার কোনও বিলাসিতা নয়, বরং এটি একটি সাধারণ বাস্তবতা মাত্র। পুলিশের একার পক্ষে যেমন নাগরিক নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়, তেমনি সরকারের পক্ষেও এককভাবে নিরাপত্তা প্রযুক্তি স্থাপন করা সম্ভব নয়। এজন্য দরকার নাগরিক সহযোগিতা। জনতা ও পুলিশ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অপরাধ ও অপরাধীদের প্রতিরোধ করা সম্ভব।
/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা