X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি নিলে এমপিও বাতিল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ নভেম্বর ২০১৬, ২২:৪৭আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০১৬, ২২:৪৮

ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি নিলে এমপিও বাতিল শিক্ষার্থীর ভর্তি ফরম এবং ভর্তি ফি বাবদ সরকার নির্ধারিত অর্থের অতিরিক্ত আদায় করলে এমপিও বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা মহানগরী ছাড়াও দেশের সব বেসরকারি স্কুল, কলেজ, প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এ বিধান করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি নীতিমালা জারি করেছে সরকার। গত রবিবার (৬ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নীতিমালা জারি করে।
নীতিমালায় বলা হয়, ভর্তি নীমিালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনও অবস্থায় শূন্য আসনের বাইরে ভর্তি করা যাবে না। অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হলে আগে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। এদিকে গত ৬ নভেম্বর সরকারি মাধ্যমিকেও ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে আরও একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকালে জারি করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়, ঢাকা মহানগরী ছাড়াও দেশের সব বেসরকারি স্কুল, কলেজ, প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নীতিমালা অনুসারেই শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
অপরদিকে ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে এবারও ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। গত বছর থেকে রাজধানীতে এলাকা কোটা ৪০ শতাংশ চালু করে সরকার।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তিতে স্কুল সংলগ্ন এলাকার (ক্যাচমেন্ট এলাকা) শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। আর অবশিষ্ট আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে এলাকা কোটা প্রযোজ্য হবে না।
অন্যদিকে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই ক্যাচমেন্ট এলাকায় থাকলে উভয় প্রতিষ্ঠানেই ভর্তির আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
পরিচালনা পর্ষদের সহায়তায় মহানগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাচমেন্ট এলাকা নির্ধারণে একাধিক স্কুলের মধ্যে জটিলতা দেখা দিলে থানা/উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষটি সমাধান করবেন। এতে কোনও এলাকা যেন বাদ না পড়ে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
নীমিতালা অনুযায়ী, এবারও প্রথম শ্রেণিতে অবশ্যই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করতে হবে। লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ছাড়াও অপেক্ষমান তালিকা করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তি করতে হবে।

দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম যাচাই করে শিক্ষার্থী বাছাই করতে হবে। নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে জেএসসি-জেডিসির ফলের ভিত্তিতে।

প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স কমপক্ষে ছয় বছর হতে হবে।

শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে পরিচালনা পর্ষদ ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময় নির্ধারণ করবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটনসহ এমপিওভুক্ত, আংশিক এমপিওভুক্ত এবং এমপিও বহির্ভূত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন ফরমের দাম হবে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সেশন ফিসহ সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান আট হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।

উন্নয়ন খাতে কোনও প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠান থেকে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এক শ্রেণি থেকে পরের শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে পুনঃভর্তির ফি নিলেও সেশনচার্জ নেওয়া যাবে না।

নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি ফরম এবং ভর্তি ফি বাবদ সরকার নির্ধারিত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে এমপিও বাতিলসহ আইননুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং সন্তান পাওয়া না গেলে তাদের নাতি-নাতনীদের জন্য পাঁচ শতাংশ কোটা রাখতে হবে। প্রতিবন্ধীদের বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই শতাংশ।

লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে অবস্থানরত সব শিশুকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে ভর্তি করাতে হবে। যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে তাদের জন্য শূন্য আসনের এক শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতিষ্ঠানে দুই শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।

কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন যদি আগে থেকেই অধ্যয়ন করে তাহলে তাদের আসন শূন্য সাপেক্ষে ভর্তিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে এই সুবিধা কোনো দম্পতি সর্বোচ্চ দুই সন্তানের বেশি নিতে পারবে না।

কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারী এবং এর পরিচালনা পর্যদের সদস্যদের সন্তানদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ থাকলেও কোনও কোটা থাকবে না।

/এসএমএ/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মিরপুরে ‘হারল্যান স্টোর’-এর উদ্বোধন করেন নুসরাত ফারিয়া, পণ্য কিনে হতে পারেন লাখপতি
মিরপুরে ‘হারল্যান স্টোর’-এর উদ্বোধন করেন নুসরাত ফারিয়া, পণ্য কিনে হতে পারেন লাখপতি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা