ঢাকা লিট ফেস্টের শেষ দিন সকাল সোয়া এগারোটায় লনে (বর্ধমান হাউজের পেছনে) আরবের কথাসাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন মিশরীয় লেখক-অনুবাদক নায়েল এলটুখি এবং আরবি সাহিত্যের কিউরেটর মার্সিয়া লিঙ্ক্স ক্যালি। আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন এশিয়ান লিটারেরি এজেন্সির ফাউন্ডার কেলি ফ্যালকনার।
তাদের আলোচনায় উঠে আসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আরবি কথাসাহিত্যিক ও তাদের সাহিত্যকর্ম। এলটুখি তার আলোচনায় মিশরের নোবেলজয়ী সাহিত্যিক নগীব মাহফুজের সাহিত্যকর্ম নতুন করে অনুবাদ ও পঠিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এমনকি তার সমকালে নিজ দেশে ব্যাপক সমালোচিত হলেও, এখন তিনি তার দেশে সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। ক্যালি নগীব মাহফুজের নতুন করে অনুবাদ ও পাঠের প্রয়োজনীয়তার আরেকটি কারণের কথা বলেন। প্রথম দিকে যেসব আরবি কথাসাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম অনূদিত হয়েছিল, তার অনেকগুলোরই প্রকৃত অনুবাদ হতে পারেনি। কারণ, আরবি ভাষার সাথে বহির্বিশ্ব তখনো তেমনভাবে পরিচিত নয়। এছাড়াও আরবি সাহিত্যের বিশ্ব পরিচিতির প্রেক্ষাপটে এডওয়ার্ড সাঈদের প্রভাবের কথাও তাদের আলোচনায় উঠে আসে।
এছাড়াও ক্যালি সাহিত্যে আরব দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় প্রভাবের বিষয়েও আলোচনা করেন। আরব সরকারগুলো সাহিত্যক্ষেত্রে বিপুল অঙ্কের পুরস্কার চালু রেখেছে, যেগুলোর নির্বাচন প্রক্রিয়া একেবারেই স্বচ্ছ নয়। এগুলোর মাধ্যমে সরকারগুলো তাদের নিজ নিজ রাষ্ট্রের সাহিত্যকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। বিপরীতে লেখকদের একটা দল আবার বহির্বিশ্বের বড় বড় পুরস্কারের জন্যও কথাসাহিত্য রচনা করছেন। এগুলোর ফলে সম্প্রতি আরবে শিশুসাহিত্যের পরিমাণ কমেছে বলেও মত প্রকাশ করেন ক্যালি।
/এনএ/