X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পর্দা নামলো ঢাকা লিট ফেস্টের

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ নভেম্বর ২০১৬, ২০:১১আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৬, ২০:৩১

সমাপনি ঘোষণা দিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ

 

 

তিন দিনে বিশ হাজারেরও বেশি শ্রোতা এবং শতাধিক গুণীজনের অংশগ্রহণের পর অবশেষে ঘনিয়ে আসলো বিদায়ের ঘণ্টা। বলা হচ্ছে, ঢাকা লিট ফেস্টের কথা। শনিবার ব্যস্ত দিন শেষে সন্ধ্যা নামতেই বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু সমাপনি অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ। এছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিলেন ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, উৎসবের উদ্যোক্তা সাদাফ সায।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে স্যার ফজলে হাসান আবেদ প্রথমেই স্মরণ করেন সদ্য প্রয়াত সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হককে। তিনি তার স্মৃতিচারণে বলেন, ‘সৈয়দ শামসুল হক একবার লিখেছিলেন, গ্রামীন উন্নয়ন নিয়ে রবীন্দ্রনাথের যে স্বপ্ন তাই বাস্তবায়ন করছে ব্র্যাক। মৃত্যুর আগে তিনি যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, আমি হাসপাতালে তার সঙ্গে দেখা করতে যাই। আমার দুটি ধরে তিনি বলেছিলেন, শেক্সপিয়ার হ্যামলেট অনুবাদ শেষ করলাম। হ্যামলেটের বাবার মৃত্যু তাকে আমাদের জাতির জনকের মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয় বলেও জানালেন। যুক্তরাষ্ট্রে এক সফর শেষে তার সঙ্গে আবার দেখা করবো বলে বিদায় নেই। কিন্তু সেই দেখা আর হয়নি আমাদের।’ সমাপনি বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হলো সংস্কৃতির পরিবর্তন নিয়ে আসা। তবে সেই পরিবর্তন আনতে হবে ঐ সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় এমন পদ্ধতির মধ্য দিয়ে। আমাদের দেশে মাঝিতে, কৃষকে সংস্কৃতির ফারাক। সংস্কৃতির ফারাক হিন্দু-মুসলিমেও। এই ফারাকের মধ্য দিয়েও এদের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান চলছে। এই বিনিময় বন্ধ গেলে তা খারাপ পরিনতি বয়ে নিয়ে আসবে।’ ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালকের প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বক্তৃতা শেষ করেন।

যাত্রিকের পরিচালক সাদাফ সায বলেন, ‘এই বছরের জুলাই মাসে ঘৃণ্য হামলার পর আমার পরিচিতজনেরা আমাকে বলেন, যে করেই হোক, যত ঝুঁকির বিনিময়েই হোক, ঢাকা লিট ফেস্ট আর এর চেতনাকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমরা তোমার সঙ্গেই আছি। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এই উদ্যোগ বাস্তবতার মুখ দেখতো না।’ পৃষ্ঠপোষক এবং অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন। এরপর শেকড়ের লোকজ গানের উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে  এই বছরের মতো পর্দা নামে লিট ফেস্টের।

আনুষ্ঠানিক সমাপনি ঘোষণা হলেও বাইলে চলছিল লালনের গান। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ তখনও লোকে লোকারণ্য। কেউ যেনও যেতে চাচ্ছেন না।

একজন বলেই বসলেন, বইমেলা ভাঙলে যেমন মন খারাপ হয়, তেমন মন খারাপ হচ্ছে। সাহিত্যিকদের মধ্যে চলছিল বিদায়ের পালা। অভ্যাগতদের মধ্যেও চলছিল বিদায়ের আয়োজন। মাইকে ঘোষণা হচ্ছিল স্টল মালিকদের দায়িত্ব নিয়ে। এক সময় লাইট বন্ধ হয়ে গেল। তবু কেউ যেনও যেতে চাইছেন না।

/এফএএন/          

সম্পর্কিত
পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে যেসব লেখক
মেলার বাইরে বই কেনেন না অর্ধেকের বেশি পাঠক
বব ডিলানের নোবেল প্রাপ্তির পক্ষে সমর্থক বেশি
সর্বশেষ খবর
‘আমার স্ত্রী শুধু অন্যের পরামর্শ শোনে’
‘আমার স্ত্রী শুধু অন্যের পরামর্শ শোনে’
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
লিভারপুলের নতুন কোচ স্লট!
লিভারপুলের নতুন কোচ স্লট!
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে: ওবায়দুল কাদের
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে: ওবায়দুল কাদের
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!