ভিন্ন ভিন্ন দেশে রাজনীতির সংস্কৃতি ভিন্ন। সাহিত্যে রাজনীতি বাদ দিয়ে লেখার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও রয়েছে তার অনেক বিরূপ প্রতিক্রিয়া। ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিন প্রধান মঞ্চে চার দেশের লেখক ও সাংবাদিক একত্রিত হয়েছিলেন সাহিত্যে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা নিয়ে। এই চারজনের লেখালেখির ধরন সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সবাই তাদের লেখায় রাজনীতি নিয়েই কথা বলেছেন। সাহিত্যের কোনও কিছু কী কখনও রাজনৈতিক হতে পারে? মার্ক্সবাদী যুগ পেরিয়ে এবং ক্রমবর্ধমান পুঁজিবাদের যুগে অরাজনৈতিক হওয়া কি সম্ভব? সাহিত্য নিয়ে কি রাজনীতি হতে পারে যদিও তা তীব্রভাবে ব্যক্তিনির্ভর? এসবই আলোচনার বিষয়।
আলোচক প্যানেলে ছিলেন ড. কাজী আনিস আহমেদ, ইভ উইল্ড, এলেক্স প্রেস্টন, এবং নায়েল এলতোকি। সঞ্চালনা করেছেন নিকোলাস লিজারড।
কাজী আনিস বলেন, ‘আমি নিজেকে একজন রাজনৈতিক লেখক হিসেবে দাবি করতেই পারি, কারণ রাজনীতি নিয়ে লেখায় এবং জীবনের সাথে জড়িত হওয়ার কোন বাধা নেই।’
নায়েল এলতোকি মিশরের বিভিন্ন সবসময় রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং তা নিয়ে লেখালেখির পর যে অভিজ্ঞতা তা সকলের উদ্দ্যেশে তুলে ধরেন। অন্যদিকে সাংবাদিক এলেক্স প্রেস্টন বলেন রাজনীতি নিয়ে লেখা মানুষ পড়ে বেশি কিন্তু বোঝে কম। অনেকেই না বুঝে খুব দ্রুত রিএ্যক্ট করে। আমার বইতে আমার নিজের কোন মতামত আমি লিখিনি, লিখেছি লন্ডনের মানুষের মনের কথা।
/এনএ/