সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভাড়া ৬০ ভাগ বৃদ্ধির পরও এ সেক্টরে প্রতি মাসে ১২ কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
শনিবার রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের পর্যবেক্ষণমূলক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সিংহভাগ অটোরিকশা যাত্রীর পছন্দের গন্তব্যে যায় না, মিটারে চলে না, মিটারে গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে, যাত্রীর সঙ্গে অস্বাভাবিক দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ থাকার পরও এই সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।
রাজধানীতে কয়েক হাজার অবৈধ অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার যাতায়াত করে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু অসাধু পুলিশ সার্জেন্ট, টিআই, পিআই, সাংবাদিক এর নামে ১৫,০৫০ টি অটোরিকশা রাজধানীতে বছরের পর বছর অবৈধভাবে চলাচলের কারণে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করেও এই সেক্টরে সুশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ, দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের ইজারাদাররা, রেলওয়ে স্টেশনের ইজারাদাররা, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে শ্রমিক ইউনিয়নের নামে, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ইজারার নামে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি থৈরির আগে এক মাসব্যাপী যাত্রী কল্যাণ সমিতির ১৫ প্রতিনিধি রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। প্রতিবেদনটির প্রকাশ করতে গিয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ৮টি সুপারিশ পেশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খোকন, ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি বরকত উল্লাহ ভুলু, নাগরিক সংহতির সভাপতি শরীফুজ্জামান শরিফ প্রমুখ।
/আরএআর/এসটি/