জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে গোপনে বিয়ে করেও কালক্ষেপণ এবং ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের অন্তরঙ্গ ছবি আপলোড করার অভিযোগ এনে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেছেন এক তরুণী।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় গত ৫ জানুয়ারি ওই তরুণীর দায়ের করা জিডিকে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ। এরপর আজ রবিবার (২২ জানুয়ারি) আরাফাত সানিকে তার আমিনবাজার এলাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলায় ওই তরুণী দাবি করেন, সাত বছর আগে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর উভয়ের পরিবারকে অবহিত না করেই সানির সঙ্গে তিনি গোপনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু, বিয়ের পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ বাড়িতে তুলে না নিয়ে আরাফাত সানি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এমনকি তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দিলেও সানি তাতে কান দেননি। এরপর গত ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে সানি তার নাম ব্যবহার করে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং ওই আইডি দিয়ে তরুণীর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ও একক ছবি ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে তাকে নানারকম হুমকি দিতে থাকেন। এরপর তার ফেসবুক আইডিতে নগ্ন ছবি পাঠিয়ে তাকে আরও উত্যক্ত করতে থাকেন সানি এবং তাকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুমকি দিতে থাকেন।
এ ঘটনায় সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়াসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগায় গত ৫ জানুয়ারি ২০১৭ আরাফাত সানির বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন ওই তরুণী।
তবে ছেলে বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরাফাত সানির মা আক্তার বেগম। আর সানির ভাই ফয়সাল মোহাম্মদপুর থানার সামনে সাংবাদিকদের বলেন, 'সানি যখন মিরপুরে অনুশীলন করতো তখন এই তরুণী তাকে অনুসরণ করতন। এমনকি আমাদের বাসায় গিয়েও তার ভালো লাগার কথা জানান। কিন্তু সানি তাকে পাত্তা না দেওয়ায় সে এই কাজ করেছে।'
এদিকে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মীর জামাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তথ্য-প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই তরুণী ৫ জানুয়ারি মামলাটি করেন। আজই সানিকে আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
/এআরআর/টিএন/