বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার নারী জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এই রোগে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি নারী মৃত্যুবরণ করেন প্রতিবছর। অথচ এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য ক্যান্সার। প্রাথমিক পর্যায়েই এই রোগের চিকিৎসা শুরু করা গেলে পুরোপুরি এ রোগ থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব। জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতার মাস উদযাপনের সমাপনী র্যা লিতে এসব কথা বলেছেন বক্তারা।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ‘জননীর জন্য পদযাত্রা’ শিরোনামের ওই র্যা লি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে যাত্রা শুরু করে পদযাত্রা শেষ হয় ডেল্টা ক্যান্সার সেন্টারে। পদযাত্রায় চিকিৎসক, নার্স ও মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।
পদযাত্রার শুরুতে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, ‘জরায়ুমুখের ক্যান্সার কোনও লজ্জার বিষয় নয়। এটি একটি অসুখ এবং অন্যান্য অসুখের মতোই এর কথা বলতে হবে। এই রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে। এই রোগে আক্রান্ত নারীর পাশে থাকতে সবাইকে, তাকে সাহস জোগাতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য একটি রোগ। শুরু থেকেই এই রোগ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
‘জননীর জন্য পদযাত্রা’র প্রধান সমন্বয়কারী ও জাতীয় ক্যান্সার গবষেণা ইনস্টিটিউটের ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, ‘জরায়ুমুখের ক্যান্সারের লক্ষণ সবাইকে জানতে হবে এবং লক্ষণ দেখা যাওয়ার আগেই রোগ নির্ণয়ের জন্য স্ক্রিনিং করতে হবে। এই রোগ নিয়ে আমাদের দেশের নারীরা সংকোচে ভুগেন। এতে করে এই রোগের চিকিৎসা করতে দেরি হয়ে যায় এবং সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
‘জননীর জন্য পদযাত্রা’য় বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, গাইনি অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সাবেরা খাতুন, অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সারওয়ার আলম ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন-
রোগী গিয়েছে সিঙ্গাপুরে, মাথার খুলি ছিল ঢাকার অ্যাপোলোতে!
সেবার নতুন মাত্রা ‘মডেল ফার্মেসি’
/জেএ/টিআর/