X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

অনেক কিন্ডারগার্টেনের তথ্যই নেই সরকারের কাছে

এস এম আববাস
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১০আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১৯

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশে নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সংখ্যা অগণিত। এ ধরনের অনেক স্কুল চলছে নিয়ম-কানুন না মেনেই। এসব ‘স্বেচ্ছাচারী’ স্কুলের কাছে সরকারও যেন অসহায়! প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনেক বেসরকারি স্কুলের তথ্যই অজানা।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সালের রেজিস্ট্রেশন অব প্রাইভেট স্কুল অর্ডিন্যান্সের আওতায় ২০১১ সালে নার্সারি/প্রিপারেটরি/কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার জন্য বেসরকারি প্রাথমিক (বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা জারি করা হয়। এই বিধিমালা অনুসরণ করে এসব স্কুলের নিবন্ধিত ও পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু বিধিমালা উপেক্ষা করেই বেসরকারি উদ্যোগে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে। পাঠ্যসূচি না মানা এবং অযোগ্য শিক্ষকদের দিয়ে পাঠদানের অভিযোগও আছে এদের বিরুদ্ধে।
এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষণে রাখতে গত বছরের ১৬ আগস্ট টাস্কফোর্স গঠন করে সরকার। মহানগরের স্কুলগুলোর জন্য বিভাগীয় কমিশনার, জেলার জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
এসব টাস্কফোর্সকে সব নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেনের নিবন্ধন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করে সত্যিই স্কুলগুলোর প্রয়োজন আছে কিনা, জানাতে বলা হয়। স্কুলের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, ভর্তি ফি নির্ধারণ ও আদায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও প্রাসঙ্গিক তথ্য যাচাই করতেও বলা হয়। গঠন করার এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও এখনও তা দিতে পারেনি কোনও টাস্কফোর্স।
এ বিষয়ে নিজেদের অসহায়ত্বের কথাই তুলে ধরলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসব স্কুল কী করছে, সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ ধরনের স্কুলের সংখ্যা কত, তারা কী পড়াচ্ছে, তাও আমাদের জানা নেই। এসব স্কুলের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ থাকায় আমরা টাস্কফোর্স গঠন করেছি। কিন্তু দীর্ঘ দিন কেটে গেলেও তাদের প্রতিবেদন পাইনি।’
নজরুল ইসলাম খান জানান, টাস্কফোর্সগুলোর নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ থেকে কারণ দর্শানোর (শো-কজ) নোটিশও দেওয়া হয়েছে টাস্কফোর্সগুলোকে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, টাস্কফোর্স কাজ না করায় মন্ত্রণালয় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি। যদিও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘টাস্কফোর্স প্রতিবেদন দিলে আমরা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারব। যারা আসলেই প্রতিষ্ঠান চালাতে চায়, তাদের নিবন্ধনের ব্যবস্থাও করব। পাশাপাশি আমরা এ সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধনেরও উদ্যোগ নিয়েছি।’
আরও পড়ুন-

বয়স্কদের সাক্ষরতা ও শিক্ষার গুণগত মান অর্জনে ‘ঢাকা ঘোষণা’

বিএসএমএমইউতে গবেষণা মঞ্জুরি পেয়েছেন ২৩২ জন
/এসএমএ/এএআর/আপ-টিআর

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নিজ বাড়ির সামনে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নিজ বাড়ির সামনে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কয়রায় সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া
কয়রায় সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
হলমার্কের দুর্নীতির এক মামলার রায় আজ
হলমার্কের দুর্নীতির এক মামলার রায় আজ
সর্বাধিক পঠিত
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন হাথুরুসিংহে
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন হাথুরুসিংহে
পদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
একীভূত হলো দুই ব্যাংকপদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই