রবিবার (২ এপ্রিল) থেকে অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডের (ডিআইবিএসসহ) আওতায় এবার ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। তবে গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন, সে তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৩৪ হাজার ৯৪২ জন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা দেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘মূলত দুটি কারণে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে। ২০১৪ সালে এসএসসিতে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ তিন হাজার ৩৩১ জন। ২০১৫ সালে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে পরীক্ষার্থীর পাসের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল ২০ হাজার ৭১৩ জন। সেই ২০ হাজার শিক্ষার্থী কলেজে কম ভর্তি হয়েছে।’
দ্বিতীয় কারণ সম্পর্কে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০১৫ সালে যশোর বোর্ডে ইংরেজি পরীক্ষায় বিপর্যয়ের কারণে পাসের হার ৪৬ শতাংশে নামে। যা গত বছরে ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়। ওইসব পরীক্ষার্থীরা অনিয়মিত হিসাবে গত বছর পরীক্ষা দিয়ে ইংরেজিতে ৯০ শতাংশের বেশি পাস করেছে। যে কারণে যশোর বোর্ডে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ২৫ হাজার ৭৮২ জন কমেছে।’
পাসের ফলে ২০ হাজার ৭১৩ জন এবং অনিয়মিত কারণে কমেছে ২৫ হাজার ৭৮২ জনসহ মোট ৪৬ হাজার ৪৯৫ জন। এই দুটি ঘটনা না ঘটলে স্বাভাবিকভাবে ১১ হাজার ৫৫৩ জন পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেত। এবার অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৪ জন। এর বাইরে এবার ৩ হাজার ২৬২ জন প্রাইভেট এবং ৬ হাজার ২৫ জন মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
নিবন্ধন করেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সব শিক্ষার্থী পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে পারে না। নিবন্ধন করে টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে আসতে হয়, টেস্টেও অনেকে বাদ পড়ে যায়। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থী চাকরি বা পড়াশোনার জন্য বিদেশে যায়, নানা কারণে ড্রপ আউট হয়।’ কেউ যাতে ঝরে না পড়ে সে বিষয়ে আমরা জোর দেব, বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
/এসএমএ/এমও/
এ সংক্রান্ত আরও খবর: ‘এইচএসসিতে পরীক্ষার্থী কমেছে ৩৪ হাজার ৯৪২ জন’