মেডিক্যাল হেলথ কেয়ার, জীবিকা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং মনো-সামাজিক কাউন্সিলের আওতায় রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত ৪৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয় ব্র্যাক। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে সফল হওয়ায় পাখি বেগম, রোকসানা খাতুন ও মোতালেব হাওলাদার নামের তিন শ্রমিককে পুরস্কৃত করেছে এই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। শনিবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘উদ্যোগই আনবে পরিবর্তন’[ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এসময় রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত ৪০ জন শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আওতায় ২০১৩ সাল থেকে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৪৫০ জনকে সেলাই দক্ষতা, বিউটিফিকেশন কোর্স, পশুপালনে দক্ষতা এবং নানারকম দোকানের বিক্রয়কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয় ব্র্যাক। প্রত্যেক বার প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের কাজের দক্ষতার ভিত্তিতে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে ৯০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অঙ্গহানির শিকার আট জনের কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের ব্যবস্থা করা হয়।
ব্র্যাকের রিহ্যাবিলিটেশন সাপোর্ট স্পেশালিস্ট নাসরিন জাহান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসব আহত শ্রমিকদের শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি তাদের মানসিক শক্তি ফিরিয়ে আনার কাজটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মানসিকভাবে শক্ত না হলে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সেই ট্রমা থেকে তাদের বের করে আনা যেত না।’
অনুষ্ঠানে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা হাদিউজ্জামান বলেন, ‘ব্র্যাক আপনাদের সাহায্য করবে, তবে আপনাদের উদ্যোগ ও উৎসাহ থাকতে হবে। আপনাদের মনোবল হারিয়ে গেলে চলবে না। আমরা আপনাদের পাশে থাকবো। সহযোগিতা করবো। কিন্তু আপনাদের উদ্যম থাকতে হবে।’
ব্র্যাকের ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘যারা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রকম কাজ করছেন, তাদের ব্যবসা বড় করার জন্য যদি আরও আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তবে সেটাও দেবে ব্র্যাক।
/জেএ/এমএ/ এপিএইচ/