X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড: পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৪২আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ২২:১৬

 

সুপ্রিম কোর্ট (ছবি: সংগৃহীত)

‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানেই আমৃত্যু কারাবাস’—এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে একটি হত্যা মামলার আসামি আতাউর মৃধা ও আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে  ১৪ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের দেওয়া এই রায়েল পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। ৯২ পৃষ্ঠার রায়টি প্রধান বিচারপতি নিজেই লিখেছেন।

রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হুসেইন হায়দার।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত আকারে আসামির আপিল খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ রায়  ঘোষণা করেন।

এই রায়ের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত হলো, যখন কোন মৃত্যুদর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়, এর মানে অপরাধীকে তার স্বাভাবিক জীবনকাল আমৃত্যু কারাবাসে থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে সাভারে জামান নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৩ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামি কামরুল, আতাউর ও আনোয়ারের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এ সাজার বিরুদ্ধে আতাউর ও আনোয়ার হাইকোর্টে আপিল করেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালত থেকে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। এ ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০০৭ সালে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন আপিল বিভাগে। 

এ রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সাভারের একটি মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ ছিল। হাইকোর্টও ফাঁসি বহাল রাখেন। আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করে শুধু  সাজা কমাতে। আদালত মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেছেন। আদেশে বলেছেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ ৩০ বছর নয় বরং আমৃত্যু। স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে।’

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এই বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘প্রধান বিচারপতি যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু (ন্যাচারাল লাইফ) কারাবাস বলেছেন।  আমাদের অভিমত উপস্থাপনে আমি বলেছি, দণ্ডবিধির ৫৭ ধরায় যাবজ্জীবন দণ্ড অর্থ ৩০ বছর। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা কারাগারে রেয়াত পেলে দণ্ড আরও কমে আসে। এটি পূর্ণাঙ্গ রায়ে থাকবে না আশা করি।’ 

যাবজ্জীবন বা ফাঁসি হবে এমন মামলার ক্ষেত্রে এ রায়ে বলা হচ্ছে, বিচারিক আদালতে শুরুতেই অপরাধী তার অপরাধ শিকার করে যদি আবেদন জানান, সেক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ কম দেওয়ার বিষয়ে আদালত বিবেচনা করতে পারে। তবে আদালতকে অপরাধীর আবেদনের সবটাই গ্রহণ করতে হবে এমনও নয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ের শেষে মোট সাতটি বিবেচনা ও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সব কয়েদির জন্য ব্যবস্থা নিতে রায়ের কপি স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজি প্রিজন্সের কাছে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

ইউ আই/ এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
লখনউ ও চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা 
লখনউ ও চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা 
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা