হাওর এলাকার মানুষের বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে আগামী একবছরের জন্য জলাভূমির ইজারা স্থগিত করতে উপদ্রুত অঞ্চলের মানুষের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। বিত্তবানদের কাছে দেওয়া এসব ইজারা স্থগিত করে উন্মুক্ত জলাভূমিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহে স্থানীয়দের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানায় সংস্থাটি। বুধবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘হাওর সংকট ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা ও সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ব্র্যাক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্ত বলেন, ‘ইতোমধ্যে হাওর এলাকায় সরকারি ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে এই সংকট সামাল দেওয়া দুরূহ। আমরা চাই ব্র্যাকের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও দুর্গত মানুষের সেবায় এগিয়ে আসুক।’ হাওরের জলাবদ্ধতা দূর করতে এখনই পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নিলে এ সংকট আবারও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই সংসদ সদস্য।
ব্র্যাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক গওহর নঈম ওয়ারা বলেন, ‘হাওর এলাকার পাঁচ জেলায় ব্র্যাক ইতোমধ্যে প্রায় সাত হাজার পরিবারের মধ্যে গো-খাদ্য বিতরণ ও ৫০ হাজার পরিবারের মধ্যে ১৫ কোটি টাকার জরুরি ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু এ সমস্যা সমাধানে শুধু ত্রাণ সহায়তাই যথেষ্ট নয়। বরং প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা। আর ত্রাণ বিতরণে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও তদারকিও থাকা প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোথায়, কখন ত্রাণ দেওয়া হবে তা আগে না জানানোর কারণে অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জাতীয় বাজেটে হাওরবাসীর নিরাপত্তা ও উন্নয়নে আরও বরাদ্দ দেওয়ারও দাবি জানান গওহর নঈম ওয়ারা।
সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ কর্মসূচির পরিচালক কেএএম মোর্শেদসহ প্রমুখ।
/জেএ/এসএমএ/ এপিএইচ/
আরও পড়ুন: