X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্য অর্জনে আশাবাদী তরুণ প্রজন্ম

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ মে ২০১৭, ১৭:৫৯আপডেট : ২৭ মে ২০১৭, ১৯:২৯

ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনের বিষয়ে আশাবাদী দেশের অধিকাংশ তরুণ। তবে লক্ষ্য অর্জনের পথে প্রধান দুটি বাধা হিসেবে পরিবারের অক্ষমতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে চিহ্নিত করেছেন তরুণরা। নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসের অভাবকেও লক্ষ্য অর্জনের পথে আরেকটি বাধা বলে মনে করছেন কেউ কেউ। সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনের একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। 

ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন করার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী? ‘তারুণ্য ২০১৭: নতুন প্রজন্ম যা ভাবছে’ শিরোনামের এই জরিপে অংশ নিয়েছেন সারাদেশের ২ হাজার ৪০০ তরুণ। জরিপের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে ৮৪ শতাংশ (৪৭.০৮ শতাংশ ভীষণ আশাবাদী ও ৩৭.২৯ শতাংশ আশাবাদী) তরুণই তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

 

লক্ষ্য অর্জনে মূল অন্তরায় তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে পরিবারের অক্ষমতার বিষয়টিই বেশি ভাবাচ্ছে তাদের। অংশগ্রহণকারীদের ২৭ শতাংশের বেশি মনে করেন পারিবারিক সক্ষমতার অভাবে তাদের লক্ষ্য অর্জিত নাও হতে পারে। ১৯ শতাংশের মতে নিজের সক্ষমতার ওপর আত্মবিশ্বাসের অভাবও  একটি দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।  প্রায় ১৮.৯৬ শতাংশ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে তাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে মূল অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কোনটি?

এদিকে ভালো চাকরি পাওয়াকেই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ইস্যু বলে মনে করছেন ৩৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। অন্যদিকে ২১ শতাংশের মতে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়াটাই এই মুহূর্তে তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

উচ্চতর পড়াশোনা কি দেশেই সম্পন্ন করতে চান? উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপরেই আস্থা রাখছেন জরিপে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীরা। দেশেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ দেখিয়েছেন ৬১.৮৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। আর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা বলেছেন৩৮ শতাংশ।

বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে কি দেশে ফিরে আসবেন?

তবে পড়াশোনার জন্য বিদেশে যেতে হলেও লেখাপড়া শেষে দেশে ফিরে আসতে চান ৬০ শতাংশ।

জরিপ প্রক্রিয়া

  • দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশের ৮টি বিভাগীয় শহর ও ২৪টি জেলার গ্রামীণ অঞ্চল থেকে ২ হাজার ৪০০ জন তরুণের ওপর এই জরিপটি পরিচালনা করা হয়।
  • শহুরে ও গ্রামীণ জনপদের সমান সংখ্যক তরুণের কাছ থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে।
  • প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় শহরের বাসিন্দাদের শহুরে হিসেবে ধরা হয়েছে।
  • জেলার গ্রামাঞ্চলের প্রতিনিধিদের গ্রামীণ জনপদের প্রতিনিধি হিসেবে ধরা হয়েছে।
  • প্রতিটি বিভাগীয় শহর থেকে ১৫০ জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
  • গ্রামীণ ডাটার জন্য বিভাগীয় শহর ছাড়া তিনটি জেলাকে নির্বাচন করা হয়েছে।
  • বড় বিভাগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় শহর ছাড়া জেলাগুলো দৈবচয়নে নির্ধারণ করা হয়েছে।
  • প্রতিটি জেলার গ্রামীণ জনপদ থেকে ৫০ জনের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে।

/এসজি/এমএমআর/ এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
বায়ার্নের নজরে থাকা নাগেলসমানের সঙ্গে জার্মানির নতুন চুক্তি
বায়ার্নের নজরে থাকা নাগেলসমানের সঙ্গে জার্মানির নতুন চুক্তি
নড়াইলে ‘সুলতান মেলা’ উপলক্ষে আর্ট ক্যাম্প
নড়াইলে ‘সুলতান মেলা’ উপলক্ষে আর্ট ক্যাম্প
লোকসভা নির্বাচন: রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসী
লোকসভা নির্বাচন: রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসী
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!